প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বাইসহ ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে থই থই গোটা মুম্বাই।
সোমবার রাতে শহরের তিন জায়গায় দেয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের। আহতের সংখ্যা বহু।
মুম্বাইয়ের মালাড এলাকার কুরার গ্রামে গভীর রাতে পাঁচিল ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে ১১ জন। খবর পেয়ে উদ্ধারে নামে এনডিআরএফ ও বৃহন্মুম্বাই পৌরসভার বিপর্যয় মোকাবেলা দল।
পুনের সিংহগড় ইন্সটিটিউটের পাঁচিল ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। পাঁচিলের পাশে ঝুপড়িতে বাস করতেন কয়েকজন প্রবাসী শ্রমিক।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে মুম্বাইয়ের কল্যাণে। সেখানে একটি স্কুলের পাঁচিল ভেঙে পড়ে পাশের দুটি বাড়িতে। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কল্যাণের দুর্গাডি এলাকায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভেঙে পড়ে ন্যাশনাল উর্দু স্কুলের পাঁচিল। স্থানীয়রাই প্রথম উদ্ধারে হাত লাগান।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস এসব ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দুইদিন মুম্বাইয়ে চলবে ধারাবর্ষণ।
তাই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন, আজও আবহাওয়া দফতর ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরেই থাকার অনুরোধ করছি। সরকার থেকেও ছুটি ঘোষণা করে বলা হয়েছে, এ দিন মুম্বইয়ে শুধু জরুরি পরিষেবাগুলোই চালু থাকবে।
রাজ্যমন্ত্রী আশিষ শেলার মঙ্গলবার ভোরে টুইট করে জানিয়েছেন মুম্বাই, নবি মুম্বাই, থানে ও কোঙ্কন অঞ্চলের সব স্কুল (সরকারি এবং বেসরকারি) মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হবে। গত পাঁচ দিনে গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।
বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিমান পরিষেবা। বাতিল করা হয়েছে ৫২টি ফ্লাইট। ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে ৫৫টি ফ্লাইট। সেগুলোকে মূলত বেঙ্গালুরু ও আহমদাবাদের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিমানবন্দরের মূল রানওয়ে।
বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রেল চলাচলেও। কম দৃশ্যমানতা ও রেললাইনে জমা পানির কারণে ট্রেন দেরিতে চলছে। সড়কপথেও শ্লথ গাড়ির গতি। রাস্তার রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। পাম্প দিয়ে পানি সরানোর কাজ চলছে।
১৯৭৫ সালের পর এবারই ২৪ ঘণ্টায় মুম্বাইয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩৭৫.২ মিমি। গত এক দশকে এটাই একদিনে সর্বাধিক বৃষ্টি। একদিনে সর্বাধিক বৃষ্টির রেকর্ড তৈরি হয় ২০০৫ সালে। সূত্র: এই সময় ও জি নিউজ
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]