শিরোনাম
কাশ্মীরে নির্যাতনের শিকার ৭০ শতাংশই বেসামরিক মানুষ
প্রকাশ : ২২ মে ২০১৯, ১০:২৫
কাশ্মীরে নির্যাতনের শিকার ৭০ শতাংশই বেসামরিক মানুষ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতশাসিত কাশ্মীরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, গত ২৮ বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যাদের নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের ৭০ শতাংশই সাধারণ নাগরিক।


চার শতাধিক নির্যাতিত ব্যক্তির লিখিত জবানবন্দীর ওপরে ভিত্তি করে তৈরি তাদের এক প্রতিবেদনে যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো দেয়া, লোহার শিক ঢোকানো বা হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখার মতো নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।


তবে কাশ্মীরে কাজ করেছেন এমন ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।


কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটিজ নামে এই সংগঠনটি বলছে, ১৯৯০ সাল থেকে সেনাসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে তা ‘অভাবনীয়’। নির্যাতিতদের মধ্যে উগ্রপন্থী বা সাবেক উগ্রপন্থীরা আছে ঠিকই, কিন্তু ৭০ শতাংশই হচ্ছে সাধারণ বেসামরিক নাগরিক।


সংগঠনটির প্রধান পারভেজ ইমরোজ বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হবার পর লোকজনের নিখোঁজ হওয়া বা নিরাপত্তা হেফাজতে মুত্যুর ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু নির্যাতনের ঘটনাগুলো নিয়ে রিপোর্ট হয়নি। তথ্য ঘাঁটতে গিয়ে দেখা গেছে এরকম হাজার হাজার ঘটনা রয়েছে।


তিনি বলেন, এর কোনো বিচার হয় না কারণ আইন করে নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।


নির্যাতনের শিকার হওয়া ৪৩২ জনের লিখিত বিবৃতি সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি। তারা যে সব নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন তার মধ্যে চড়-থাপ্পড়, লাথি, গালিগালাজ যেমন আছে, তেমনি আছে যৌনাঙ্গে বিদ্যুতের শক দেয়া, মলদ্বারে মরিচের গুঁড়ো বা লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়া, উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা বা নগ্ন করে তল্লাশির মতো ঘটনা।


তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল কে কে গাঙ্গুলি বলেছেন, এরকম নির্যাতন হতেই পারে না, এসব অভিযোগের সবটাই বানানো। তিনি কাশ্মীরে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।


তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি না। ভারতীয় বাহিনীর ইন্টারপ্রিটেশনে টর্চার নেই।


তবে পারভেজ ইমরোজ বলছেন, যে অফিসাররা এসব অস্বীকার করছেন তারা বিবৃতি দিন। তারপর তার সংগঠন খুঁজে বের করবে যে তারা কাশ্মীরে থাকাকালীন কোনো মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন কিনা।


আটক হওয়া লোকেরা যে নির্যাতনের কথা রঙ চড়িয়ে, বাড়িয়ে বলছেন না তা কীভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরোজ বলেন, তারা কেন বানিয়ে বলবে? তারা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, নির্যাতনের ক্ষতচিহ্নগুলো দেখা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথেও কথা বলা হয়েছে। তাদের যে চিকিৎসা হয়েছে সেসব নথিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com