কংগ্রেস চাইলে তিনি ভোটে লড়তে রাজি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমেথীতে দাঁড়িয়ে বুধবার এ কথা জানিয়ে দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছেন রাজীব-কন্যা।

আমেথী, রায়বরেলী হয়ে অযোধ্যা- কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকার তিনদিনের উত্তরপ্রদেশ সফর শুরু হয়েছে বুধবার। বিকেলে লখনউ থেকে আমেথীতে পৌঁছনোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রিয়াঙ্কা।

তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সরাসরি জবাব দেন তিনি। বলেন, ভোটে লড়ব না কেন? আপনিও লড়তে পারেন। যদি দল আমাকে ভোটে লড়তে বলে, নিশ্চয়ই লড়ব।

বেশ কয়েক বছর ধরে শুধু আমেথী-রায়বরেলীতে মা, দাদার হয়ে প্রচার করলেও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নামেননি প্রিয়াঙ্কা। তবে জানুয়ারিতে কংগ্রেস তাকে পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদিকা করেছে। জল্পনা ছিল, সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র রায়বরেলী থেকে ভোটে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা। সে ক্ষেত্রে ভোটে লড়বেন না সোনিয়া।
কিন্তু কংগ্রেস ইতোমধ্যেই রায়বরেলী থেকে সোনিয়ার নাম ঘোষণা করে দিয়ে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে। জল্পনা ছিল বারাণসীকে নিয়েও। অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছে দল।

এই পরিস্থিতিতেই প্রিয়াঙ্কা জানালেন, দল চাইলে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন তিনি।

ক’দিন আগেই গঙ্গাবক্ষে প্রিয়াঙ্কার সফর উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। আর বুধবার উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়বারের নির্বাচনী সফরে নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা।

আমেথীতে বুথস্তরের সভাপতিদের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা আলোচনা করেন তিনি। তাদের বলেন, মোদির ফাঁকা বুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। নোট বাতিল, ১০০ দিনের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রে়র অনীহা, ফুড পার্ক কেড়ে নেয়া আর যত্রতত্র গবাদি পশুর ঘুরে বেড়ানো আমেথীর মানুষের জীবনে সঙ্কট নিয়ে এসেছে।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, কংগ্রেস জমানায় দেশলাই থেকে শুরু করে মিসাইল পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশ সফর করে বেড়াচ্ছেন। চাষিরাও ফসলের দাম পাচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার প্রিয়াঙ্কার রায়বরেলীতে যাওয়ার কথা। এদিকে তিনি আমেথী পৌঁছনোর আগেই তার নামে পোস্টার পড়ে। তাতে লেখা, ‘আমাদের বোকা বানাচ্ছেন কেন? পাঁচ বছরে একবার অমেঠী আসেন কেন?’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা হয়, ভোটাদের প্রভাবিত করতেই শাড়ি পরেন প্রিয়াঙ্কা।

আমেথীর মুসাফিরখানা বাসস্ট্যান্ডের কাছে লাগানো ওই সব পোস্টারে সমাজবাদী পার্টির এক ছাত্রনেতার ছবি দেয়া ছিল। এর পরেই ওই ছাত্রনেতা জয়সিংহ প্রতাপ সিং জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান, ওই পোস্টারের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তার ছবির ব্যবহার করেছে কেউ। আর এ কাজ করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা ও তাকে বদনাম করার জন্য। এর তদন্তের দাবি তুলেছেন ওই ছাত্রনেতা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিবার্তা/জাকিয়া