শিরোনাম
বাংলার তৃণমূল সরকার উপরে ফেলতে এসেছি: অমিত শাহ
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৯
বাংলার তৃণমূল সরকার উপরে ফেলতে এসেছি: অমিত শাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক জনসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, বাংলার তৃণমূল সরকারের গণেশ উল্টে দিতে এসেছি। গণতন্ত্রের হত্যাকারী মমতা ব্যানার্জীর সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে।


তিনি মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় দলীয় কর্মসূচিতে ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন।


অমিতের অভিযোগ, বাংলায় তৃণমূল সরকারের আমলে বোমা-বন্দুকের কারখানা ফুলে ফেঁপে উঠেছে। অনুপ্রবেশ করানোর, হত্যা করানোর তৃণমূল সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবে। একবার বিজেপির সরকার গড়লে বাংলায় অপশাসন উপড়ে ফেলা হবে। বিজেপিকে সরকার গড়তে দিলে তারা মানুষের নিরাপত্তা দেবেন।


পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে তিনি বলেন, সব হিন্দু শরণার্থীকে বলছি, বিজেপি তাদের নাগরিকত্ব দেবে। বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন, একজন অনুপ্রবেশকারীও বাংলায় ঢুকতে পারবে না।


আসামে খসড়া নাগরিক পঞ্জি প্রকাশের পর থেকেই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ছবি স্পষ্ট হয়েছে। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা তার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক বিভাজনই হবে তাদের তুরুপের তাস ও নির্বাচনী রাজনীতি, তা বুঝিয়ে দিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেন, আমি মমতাজিকে জিজ্ঞাসা করছি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, আপনারা সমর্থন করেন কি? আমরা ধারণা, ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে উনি সমর্থন করবেন না। কিন্তু ওই বিলে যাদের সুবিধা হবে, তারা কি ভোটব্যাঙ্ক নন?


তার দাবি, ইউপিএ জামানার শেষ পাঁচ বছরে কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি রুপি। আর নরেন্দ্র মোদির সরকার গত পাঁচ বছরে বাংলাকে দিয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ কোটি রুপি।


তা সত্ত্বেও রাজ্যের অর্থাভাবের কারণ সম্পর্কে তার মন্তব্য, অর্ধেক অর্থ দিদির লোকেরা খেয়ে যাচ্ছে। আর বাকি অর্ধেক খাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা।


অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি লোকসভা নির্বাচনে আমাদেরকে ২২টির বেশি আসনে জয়ী হওয়ার জন্য টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। আমরা ওই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ২২টির বেশি আসনে জয়ী হয়ে দিল্লিতে মোদিজিকে প্রধানমন্ত্রী করব।


প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি লোকসভার আসন রয়েছে। বিজেপি এক্ষেত্রে অর্ধেকের বেশি আসনে জয়ী হওয়ার টার্গেট নিয়েছে।


এদিকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের মন্তব্য সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, মালদায় বিজেপি সভাপতির বক্তৃতা শোনার পর বোঝা যাচ্ছে তারা খুব ভয় পেয়েছেন। বিজেপি জানে ওদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। ওরা রাজনৈতিকভাবে ভীত। ওদের বক্তৃতা খুব নিম্নরুচির এবং ভুল তথ্যে ভরা। ওরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। ওরা ভারতীয় সংস্কৃতিও জানে না।


বিজেপি শূন্য পাওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে বলেও তৃণমূল মুখপাত্র ব্রায়েন মন্তব্য করেন।


কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি দাঙ্গাবাজ। মানুষের ক্ষতি করাই ওদের কাজ। তাই ওদের রথযাত্রার পরিকল্পনাও আদালতে আটকে যায়।


তৃণমূলের মহাসচিব ও মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, বিজেপি দেশের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। দেশবাসী তা হতে দেবে না। দেশের মানুষ সম্প্রীতির আবহে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান।


সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ভোট এলেই বিজেপি ধর্মের তাস খেলে। আসামে আগুন জ্বালিয়েছে। কিন্তু বাংলায় সেই চেষ্টা মানুষ রুখে দেবে। সূত্র: পার্সটুডে ও আনন্দবাজার পত্রিকা


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com