যৌন হেনস্থা (#মি টু) সম্পর্কিত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আইনি বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল গঠনের করা হচ্ছে বলে জানান ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী।
‘#মি টু’ আন্দোলন দানা বাঁধার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম মুখ খুলেছিলেন মানেক গান্ধী। এবার বিচারের আশ্বাস দিয়ে তিনি শুক্রবার বলেন, কোনোরকম দ্বিধা না করে মেয়েরা এগিয়ে আসুক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা নিয়ে তাদের যে অভিজ্ঞতা, বিনা সংকোচ তা তারা অকপটে জানান।
তিনি আরো বলেন, যৌন হেনস্থার যে সব অভিযোগ হয়েছে, আমি জানি তা সত্যি। আমি বিশ্বাস করি, এক একটি অভিযোগের সঙ্গে মানসিক যন্ত্রণা ও ট্রমা মিশে রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্তার প্রতিটি অভিযোগই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। কোনো অবস্থাতেই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
#মি টু’র তালিকাটা ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে। নানা পাটেকর থেকে অলোক নাথ হয়ে ফিল্ম ডিরেক্টর সাজিদ খানে থেমে নেই। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে মন্ত্রী এমজে আকবরের মতো অন্যান্য ক্ষেত্রের নামী ব্যক্তিদের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠছে।
#মি টু’র অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মানেকা গান্ধী চার সদস্যের একটি প্যানেল গড়ার প্রস্তাব দেন। ওই চার সদস্য হবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। ওই প্যানেল অভিযোগ শোনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।
মানেকা বলেন, চার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির একটি কমিটি গঠন করছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। ওই কমিটিই অভিযোগগুলোর গণশুনানি করবে। তারপর সেখান থেকে কোথায় কীভাবে অভিযোগ জানানো যাবে, তার পরামর্শ দেবে। পাশাপাশি সুবিচার পেতে নির্যাতিতাকে সব রকম আইনি সাহায্য ও সহযোগিতা করবেন কমিটির সদস্যরা।
তিনি বলেন, বিগত ২৫ বছর ধরে এরকম ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু এতবছর বাদে কী করে সেইসব অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তা নিয়েও উদ্বেগ শোনা গিয়েছে নারীকল্যাণ মন্ত্রীর কথায়।
আগেই মানেকা জানিয়েছিলেন, যৌন হেনস্তা হলে যতদিন পরে ইচ্ছে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। এবার তিনি জানালেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা যৌন হেনস্তার অভিযোগের একযোগে শুনানি করবেন। নির্যাতিতাদের সব রকম আইনি পরামর্শও তারাই দেবেন। সূত্র: এই সময় ও সংবাদ প্রতিদিন
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]