শিরোনাম
সোশ্যাল মিডিয়ার গঠনমূলক ব্যবহারের আহবান পলকের
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:০২
সোশ্যাল মিডিয়ার গঠনমূলক ব্যবহারের আহবান পলকের
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভুয়া খবরের মাধ্যমে সহিংসতা রোধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


বুধবার কলকাতার একটি হোটেলে ‘সাইবারকন ২০১৮ এন্ড টেকনোলজি ইক্সলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের ফাঁকে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।


পলক জানান, ''মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করাটা সবথেকে বেশি জরুরি। যারা ফেক নিউজ তৈরি করে বা মিথ্যা অপপ্রচার করে তারা মানসিক ভাবে সুস্থ নয়। আর সেদিকটি খেয়াল রেখেই দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব সহ যে যে মাধ্যমগুলি দিয়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে তাদের সাথে কোলাবরেশন বা পার্টনারশিপ করা।''


তার অভিমত, ‘অতীতে এই ধরনের বিষয়গুলিতে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া না হলেও বর্তমানে বিশ্বের সব দেশের সরকার বা সংশ্লিষ্ট দেশের মানুষ এমনকি ইউটিউব, ফেসবুক, গুগল স্বীকার করছে যে, এই ফেক নিউজকের ফলে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা ঘটছে এবং গোষ্ঠীগত ও ধর্মীয় সহিংসতায় উস্কানি দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও এখন বিপদ ও ঝুঁকির মধ্যে আছে।’


প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশের যে ১ লাখ ৭০ হাজার স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদেরকে কিভাবে অনলাইন ও অফলাইনে সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল লিটারেসিকে গুরুত্ব দেওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সেন্টারের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষকে অনলাইন ও অফলাইলনে ইন্টারনেটের ব্যবহার, তার সুফল ও কুফল ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনা বাড়ানো, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোন নিউজ ছড়ানোর আগে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেনতা করা হবে। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে এসম্পর্কিত একটি প্রোগ্রামও হাতে নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমেই একদিকে যেমন জনগণকে সচেতনা করা যাবে অন্যদিকে ন্যাশনাল ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ন্যাশনাল ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব এবং কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম-এগুলির মাধ্যমেই প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি করা হবে।’



বণিকসভা ‘অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া’ (অ্যাসোচেম) এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত প্রধান সচিব দেবাশিস সেন, অ্যাসোচেম টেকলনজি কাউন্সিল (পূর্ব) চেয়ারম্যান নবীন জয়সওয়াল, অ্যাসোচেম’এর পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ডিরেক্টর পারমিন্দর জিৎ কাউর, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান প্রমুখ।


বিবার্তা/ডিডি/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com