বাংলাদেশের প্রথম মিশন কলকাতা বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর পাঠস্থান প্রতিষ্ঠান মৌলানা আজাদ কলেজের (পূর্বতন ইসলামিয়া কলেজ) রেজা আলি ওয়াশাথ হলে বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রাপ্ত ও ভারতের দুরদর্শনের সাবেক কর্মকর্তা পঙ্কজ সাহা এবং মৌলানা আজাদ কলেজ পশ্চিমবঙ্গের অধ্যক্ষ ডা. সুভাশিষ দত্ত আলোচনার অংশগ্রহণ করেন।
প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা বাংলার কথা বললেও তাঁরা ছিল যুগে যুগে বাঙালিত্বে বিরোধীতা করা ধর্মাশয়ী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেও বাংলা ভাষা, বাঙালির স্বায়ত্বশাসন ও সর্বোপরি স্বাধীকার আন্দোলনের বিরোধীতা করেছিল। ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে বংলাদেশকে আবার পূর্বপাকিস্তানে রূপান্তর করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা জয়বাংলার বদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ প্রতিঠা করেছিল। তারাই ‘পহেলা পাকিস্তান হামারা, খদমে পাকিস্তান’ এর বদলে প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলারদেশ কায়েম করেছিল। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনেক পথ এগিয়েছে যা বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত।
ড. সুভাশিষ দত্ত তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কলেজে পড়েছিলেন ও নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন, আমি এখন সেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। বাঙালিত্বেও যে তত্ত্ব বঙ্গবন্ধু সূচনা করেছিলেন সেই আদর্শের কারণেই আজ বিশ্বে প্রকৃত বাঙালিত্বের অস্তিত্ব রয়েছে।’
তৌফিক হাসানা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বের জন্য বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জায়গা হয়েছে।’
এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘চিরঞ্জিব বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। হল ভর্তি দর্শক তথ্যচিত্রটি দেখে আবেগময় হয়ে পড়েন।
বিবার্তা/ডিডি/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]