শিরোনাম
‘অমিত শাহের মা-বাবার জন্মসনদ আছে কি?’
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ১০:৩০
‘অমিত শাহের মা-বাবার জন্মসনদ আছে কি?’
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের আসাম রাজ্যের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। গত ৩০ জুলাই আসামে প্রকাশিত হয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা।


তালিকা থেকে প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ যাওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা চলছে। এই ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির কারণে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে রক্তগঙ্গার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।


মঙ্গলবার ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে সংবাদ সম্মেলন করে মমতার অভিযোগ, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি খসড়ার তালিকা থেকে বাদ পড়া ৪০ লাখের মধ্যে ৩৮ লাখ বাঙালির নাম বাদ গেছে। এর মধ্যে ২৫ লাখ হিন্দু বাঙালি ও ১৩ লাখ বাঙালি মুসলিম রয়েছে। বাকি ২ লাখ হিন্দিভাষী, নেপালি সব মিলিয়ে রয়েছেন।


বিজেপিকে সরাসরি নিশানা করে মমতা বলেন, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিজেপি এই ধরনের নাগরিক পঞ্জির তালিকা তৈরি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এখানে বসবাস করছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেইসব ভারতীয় নাগরিকদের কখনো শরণার্থী, আবার কখনো অনুপ্রবেশকারী বানিয়ে দেয়া হচ্ছে।


এই বক্তব্যের স্বপক্ষে একাধিক ব্যক্তির নামের তালিকাও পেশ করেন তিনি।


মমতার অভিযোগ, অনুপ্রবেশকারী বলে ভারতীয় নাগরিকদের অসম্মান করার প্রচেষ্টা চলছে। সেখানে কাউকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। যে কোনো মুহুর্তে তাদের ধরে নিয়ে ডিটেশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে।


বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মমতা বলেন, আমি অমিত শাহকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তার নিজের মা-বাবার আদৌ জন্মের সনদ আছে কি? আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি আমার মা-বাবার কোনো জন্মসনদ দিতে পারবো না।


তিনি বলেন, আসলে আগেকার দিনের খুব অল্প মানুষ রয়েছেন যারা তাদের মা-বাবা বা পূর্ব পুরুষের জন্মের সনদ রেখে দিয়েছেন। আগামী দিনে মহাত্মা গান্ধীর পরিবারও যদি এই সনদ দেখাতে ব্যর্থ হয় তবে গান্ধীজিও প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক কি না তার প্রমাণ দিতে হবে।


গত ১১ আগস্ট কলকাতা সফরে এসে অমিত শাহ তোপ দেগে বলেন, আমি মমতা দিদিকে বলতে চাই যে তিনি কেন অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছেন। তিনি যতই আপত্তি করুন এনআরসির কাজ থমকে থাকবে না। আমরা দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করবোই।
বিবার্তা/ডিডি/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com