শিরোনাম
‘ইলিশ মাছ, জামদানি কি অনুপ্রবেশকারী?’
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৬:১১
‘ইলিশ মাছ, জামদানি কি অনুপ্রবেশকারী?’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইলিশ মাছ, জামদানি কি অনুপ্রবেশকারী? নাকি উদ্বাস্তু? সন্দেশ, মিষ্টি দই, আম? বাংলার সংস্কৃতি যারা জানেন না, তারা এসব বলছেন?


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহেরর নাম মুখে না এনেই সোমবার বিধানসভা ভবনে নিজের দফতরে বসে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।


মমতা বলেন, বিজেপি সারা দেশের মানুষের মধ্যে ঘৃণার সঞ্চার করছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করছে। যারা বাংলাকে অপমান করে তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা নেই।


গত শনিবার কলকাতায় গিয়ে আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে মমতার অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি সভাপতি। এরপর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোদিও এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা করেছেন।


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন, বিজেপির সমস্যা কী? কেন বিজেপি বাংলাবিদ্বেষী? বাংলার প্রতি বিজেপির এত ঘৃণা কেন? আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি বলে? বাংলায় কথা বলা কী অপরাধ? হিন্দি, উর্দু, মারাঠি, সব ভাষাতেই আমরা কথা বলতে পারি। ভুলে যাবেন না বাংলা এশিয়ার দ্বিতীয়, বিশ্বের পঞ্চম ভাষা। আসলে বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতি, মেধাকে ভয় পায় বিজেপি।


তিনি বলেন, ওরা বাংলায় এখন বিভাজন করতে চাইছে। মানুষে মানুষে ঘৃণা ও প্রতিহিংসার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আর এর চরম বিরোধী আমরা। আমরা ঘৃণায় বিশ্বাসী নই, শান্তিতে বিশ্বাসী।


মমতা আরো বলেন, চিরকাল উদ্বাস্তুদের পক্ষে আমি দাঁড়িয়েছি। কারণ আমি দেখেছি তাদের সংগ্রাম। উদ্বাস্তু হয়ে এসে কী লড়াই চালিয়েছেন। তারা তো ভারতীয়। আজ আবার তাড়িয়ে দেব? তাদের গ্রেফতার করব? আমাকে যদি বলে, মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট দেখাও। আমি দেখাতে পারব? তখন তো আজকের মতো বার্থ সার্টিফিকেটের চল ছিল না। দিতে পারবেন ডেথ সার্টিফিকেট। তাই আমরা অনুপ্রবেশকারী?


বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বাংলার রাজনীতি তারা বোঝেন না। আমরা ভারতীয় নাগরিকের পাশে রয়েছি। অনুপ্রবেশকারীর নাম দিয়ে আসামে ডিটেনশন করা হচ্ছে। ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কাউকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। শিবিরে ৮৩৩ জন রয়েছে। এদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে। ক্যাম্পে খেতে দেয়া হচ্ছে না। পানি পাচ্ছে না।


তিনি আরো বলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে কাপড় বিক্রি করতে গিয়েছিল আসামে। তাদের আটকে রাখা হয়েছে। এসব কী? এক প্রতিনিধিদল কলকাতায় এসেছে। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করব। এ রাজ্য থেকেও একটা দল সেখানে যাবে।


উল্লেখ্য ৩০ জুলাই আসামে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে বাদ পড়ে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সূত্র: এই সময়


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com