ভারতের আসাম রাজ্যে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা। কলকাতা প্রেসক্লাবে শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এই শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
বিশিষ্ট নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তীর প্রশ্ন, এটা যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে, সঠিক উপায়ে করা হচ্ছে তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাছাড়া যারা করছেন তারাই বা কতটা দক্ষ, অভিজ্ঞ তা জানতে হবে।
তার অভিমত, মনে হচ্ছে আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে। এটা ডোনাল্ড ট্রাম্প করতে পারেন কিংবা হিটলার করতে পারেন। কিন্তু ভারতে এটা করতে দেবো, না কি হতে দেবো না? এটাই প্রশ্ন।
বিভাস চক্রবর্তী ছাড়াও এদিনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন, সাহিত্যিক আবুল বাশার, ইতিহাসবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করে কবি সুবোধ সরকার বলেন, গুজরাটে তিনি গণহত্যা শুরু করেছিলেন.. আসামের এটা গণহত্যা নয়। কিন্তু ৪০ লাখ মানুষের হৃদয়কে হত্যার সামিল। তাদের সকলকেই প্রতিটি রাত দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে, কারণ সকাল হলেই হয়তো সরকারের লোক এসে বলবে বেরিয়ে যাও।
তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টকে সামনে রেখে নাগরিক পঞ্জির নামে যে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ কোনোদিন মানেনি এবং ভবিষ্যতেও কোনো দিন মানবে না।
এনআরসি খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ার মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজনে তারা আসামে যাবেন বলেও জানান বিদ্বজনেরা।
গত ৩০ জুলাই আসামে প্রকাশিত হয় জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত খসড়া তালিকা। এনআরসির কাছে জমা পড়া ৩.২৯ কোটি আবেদনকারির মধ্যে চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ২.৮৯ কোটির কিছু মানুষের নাম। তালিকা থেকে বাদ পড়ে প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়।
বিবার্তা/ডিডি/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]