শিরোনাম
নাগরিকপঞ্জিতে ৪০ লাখকে বাদ রাখা গেম প্ল্যান: মমতা
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০১৮, ১৮:১১
নাগরিকপঞ্জিতে ৪০ লাখকে বাদ রাখা গেম প্ল্যান: মমতা
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে অসমের প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ দেয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রয়োজনে ওই রাজ্য সফর এমনকি, বাদ পড়াদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।


সোমবার দুপুরে রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র ও অসমের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে মমতা বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বেছে বেছে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে। ডিভাইড অ্যান্ড রুল চলছে। আর সেকারণেই তাদের আধার, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড রয়েছে কিন্তু তারপরও নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়াদের তালিকায় হিন্দু-মুসলিম সকলেই আছেন।


তাঁর অভিমত, ‘এটা পুরো ব্যাপারটাই গেম প্ল্যান। ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই করা হচ্ছে। যারা বিজেপিকে ভোট দেবে না বেছে বেছে তাদের নামই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।’


তাঁর অভিযোগ, এনআরসি-তে যাদের নাম তোলা হলো না তারা বছরের পর বছর সেখানে বসবাস করলেও একটি মাত্র তালিকায় নাম না থাকার কারণে মুহুর্তের মধ্যে দেশের নাগরিকরদের উদ্বাস্তু তকমা দেয়া হলো!


মমতার বলেন, যাদের বাংলাদেশি বলা হচ্ছে তাদের বাংলাদেশ ফিরিয়ে না নিলে কী হবে? অসমের একদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা। এর ফলে দুই বাংলাতেই সমস্যার সূত্রপাত হবে। কারণ এরা কেউ রোহিঙ্গা নয়। এরা সকলেই ভারতীয়। কেন্দ্রের উচিত ছিল আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সাথে কথা বলা।


মমতার প্রশ্ন, সব রাজ্যেই অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা বাস করেন। পশ্চিমবঙ্গেও একাধিক রাজ্যের বাসিন্দা বাস করেন। কিন্তু তাই বলে কি তাদের বিতাড়িত করতে হবে? আমরা অসমবাসীর পাশে আছি। সেখানে সংসদীয় দল পাঠাবো। প্রয়োজনে আমি নিজেও সেখানে যাবো। দরকার হলে অসম থেকে বিতাড়িত মানুষদের পশ্চিমবঙ্গে বসবাসের সুযোগ করে দেয়া হবে।


এদিকে, এনআরসি নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে আবারো আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সোমবার লোকসভায় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেটি একটি খসড়া মাত্র, চূড়ান্ত এনআরসি নয়। কাজেই কেউ যেন অযথা আতঙ্ক এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করেন। তালিকায় যেসব বাসিন্দার নাম ওঠেনি তাদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে কিংবা ডিটেনশন সেন্টারেও পাঠিয়ে দেয়া হবে না যতক্ষণ না তাঁদের আপিলের সমস্ত সুযোগ শেষ হয়ে যাচ্ছে।


উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে জর্জরিত অসমই ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া রয়েছে। ১৯৫১ সালে যা প্রথম তৈরি করা হয়েছিল। এর আগে প্রথম আংশিক খসড়াটি প্রকাশিত হয়েছিল গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে। ওই খসড়ায় অসমের ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল রাজ্যের ১.৯ কোটি মানুষের নাম, বাকিটা হল এদিন।


বিবার্তা/ডিডি/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com