৫০০’র মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছেন তিনি। ভারতের উত্তর প্রদেশের নয়ডার মেঘনা শ্রীবাস্তব। কী করে তার এক নম্বর কাটা গেল তা জানতে সারা দিন ধরেই উৎসাহী সোশ্যাল মিডিয়া। মিম থেকে শুরু করে নানা রসিকতা এখন ঘুরছে টুইটার আর ফেসবুকের মতো সাইটে।
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)’র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রথম হওয়া মেঘনা নিজেই জানিয়েছেন, ইংরেজিতে এক নম্বর কাটা গেছে তার। ১০০-র মধ্যে ৯৯ পেয়েছেন। বাকি চারটি বিষয়- ভূগোল, অর্থনীতি, মনোবিদ্যা আর ইতিহাসে এক নম্বরও কাটতে পারেননি কেউ। সব বিষয়েই পেয়েছেন ‘পারফেক্ট ১০০’।
মেঘনার চেয়ে ঠিক এক নম্বর কম পেয়েছেন গাজিয়াবাদের ছাত্রী আনুষ্কা চন্দ্র। ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর মনোবিদ্যায় তিনিও ১০০ করেই পেয়েছেন। ইংরেজিতে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮।
শনিবার প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল। পাশের হারে ছাত্রদের ছাপিয়ে গিয়েছেন ছাত্রীরা। মেধাতালিকার প্রথম তিনেও ছাত্রীরদেরই আধিপত্য। এবারের পরীক্ষায় ছাত্রীদের পাশের হার ৮৮.৩১%। অন্য দিকে ছাত্রদের পাশের হার ৭৮.৯৯%। এবার মোট সাতজন ছাত্র-ছাত্রী তৃতীয় হয়েছেন। তার মধ্যে আবার পাঁচজনই মেয়ে।
প্রথম হওয়া মেঘনা নয়ডার স্টেপ বাই স্টেপ স্কুলের ছাত্রী। মেঘনা বলেছেন, এই সাফল্যে কোনো রহস্য নেই। সারা বছরের পরিশ্রম আর ধারাবাহিকতাই এত ভাল ফল এনে দিয়েছে তাকে। পড়াশোনা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা দরকার।
মেঘনা জানিয়েছেন, নিজের ফল দেখতেও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। কম্পিউটারের সামনে চোখ বন্ধ করে বসেছিলেন। তার বাবাই তাকে নম্বরগুলো জানান। স্কুলের বন্ধুরা টেক্সট করে জানান, তিনিই এ বারের প্রথম। ভবিষ্যতে কী নিয়ে পড়ার ইচ্ছে? মেঘনার জবাব, মনোবিদ্যা। আমার সৌভাগ্য যে কী পড়ব, তা নিয়ে বাবা-মা কখনোই চাপ দেননি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]