ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির এমপি এবং জাতিসংঘের সাবেক কূটনীতিক শশী থারুরের বিরুদ্ধে স্ত্রী সুনন্দা পুস্করকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনেছে দেশটির পুলিশ। সুনন্দার মৃত্যুর চার বছর পর এই মামলায় চার্জশিট দিল পুলিশ।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ দিল্লির একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় সুনন্দার মরদেহ। সুনন্দাকে খুন করা হয়েছে সন্দেহে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ ঘটনায় শশীকে পড়তে হয়েছিল পুলিশি জিজ্ঞাবাদের মুখে। পুলিশের ধারণা ছিল, সুনন্দাকে বিষ প্রয়োগ করে খুন করা হয়েছে।
শশী ও সুনন্দার বিবাহিত জীবন যে মসৃণ ছিল না, তারও প্রমাণ ছিল যথেষ্ট। মৃত্যুর দিন কয়েক আগেই স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন সুনন্দা। শশীর সঙ্গে পাকিস্তানের এক নারী সাংবাদিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করে ছিলেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর সোমবার দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে যে চার্জশিট গঠন করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সুনন্দার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের এই এমপি এবং বিবাহিত জীবনে তিনি নিষ্ঠুর আচরণ করতেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধর্মেন্দ্র সিংহের আদালতে তিন হাজার পাতার চার্জশিটেও পুলিশ নাম দিয়েছে একমাত্র থারুরের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় সুনন্দাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়া ছাড়া ৪৯৮-এ ধারায় স্ত্রীর সঙ্গে শশী থারুর নিষ্ঠুর আচরণ করতেন বলে অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
শশীর বক্তব্য, ১৭ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্টে পুলিশ জানিয়েছিল ওই মৃত্যুর পিছনে কারো হাত নেই। ছয় মাস পরে তারাই বলছে আমি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছি!
এদিকে পাল্টা যুক্তিতে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ফরেনসিক, মেডিকো-লিগ্যাল প্রমাণ ও ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে ওই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের চার্জশিট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে শশী বলেছেন, সুনন্দা পুস্কর যে আত্মহত্যা করবেন, তা আঁচ পর্যন্ত করা যায়নি। দীর্ঘ তদন্তের পরেও যে সুনন্দার আত্মহত্যার ঘটনায তাকে দায়ী করা হবে, এটা তিনি ভাবতেও পারেননি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]