সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়তার জন্য বেশ আলোচিত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এভাবে অনেক সময়ই বিপদের বন্ধুর মত ভূমিকার রাখেন তিনি। এ কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রশংসাও হয় ঢের। এবারও সহযোগিতা করে মহানুভবতা দেখালেন তিনি। তবে তার আগে সাহায্য প্রার্থীর ‘ভুল’ শুধরিয়েছেন।

ফিলিপাইনে ডাক্তারি পড়াশোনা করছেন কাশ্মিরী যুবক শেখ আতিক। গত ৫ এপ্রিল টুইট করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিজের পাসপোর্টের ব্যাপারে সহায়তা চান তিনি।

টুইট করে আতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, ‘আমি জম্মু-কাশ্মির ের বাসিন্দা, ফিলিপাইনে ডাক্তারি কোর্স করছি এবং আমার পাসপোর্টটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এক মাস আগে আমি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, দয়া করে আপনি আমাকে এটা পেতে সহায়তা করুন। কারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমার ঘরে ফেরাটা খুব জরুরি।’

কিন্তু শেখ আতিকের টুইটার প্রোফাইলে নিজের লোকেশন ‘ইন্ডিয়ান অকুপাইড কাশ্মির’ (ভারত অধীকৃত কাশ্মির) বলে উল্লেখ ছিল। আর তাতেই আতিককে সহায়তা করতে অস্বীকার করেন সুষমা স্বরাজ।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা টুইটে লিখেছেন, ‘আপনি যদি জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দা হন, তবে আমরা আপনাকে অবশ্যই সহযোগিতা করব। কিন্তু আপনার প্রোফাইলে উল্লেখ আছে যে, আপনি ‘ভারত অধীকৃত কাশ্মিরে’র বাসিন্দা। এই নামে কোনো জায়গা নেই।’

সুষমার জবাবের পরই নিজের টুইট প্রোফাইল সংশোধন করেন শেখ আতিক। সংশোধনের এক মিনিটের মধ্যেই সুষমা স্বরাজও জানিয়ে দেন, সংশোধনের বিষয়টি তিনি দেখেছেন এবং ফিলিপাইনে ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

টুইটার করে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,

১) ‘আমি খুব খুশি যে আপনি আপনার প্রোফাইলটি সংশোধন করেছেন।

২) জয়দীপ মজুমদার (ফিলিপাইনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত)- ইনি (শেখ আতিক) একজন ভারতীয় নাগরিক (জম্মু-কাশ্মির )। দয়া করে ওকে সহায়তা করুন।’

সুষমা স্বরাজের এই টুইট শেয়ার হয়েছে ৫ হাজার বার আর লাইক করেছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ওই ঘটনার পর নিজের টুইট প্রোফাইলটি মুছে ফেলেছেন আতিক।

বিবার্তা/ডিডি/কামরুল