ভারতে মহারাষ্ট্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গত দুদিনের মাও বিরোধী অভিযানে ৩৭ জন মাওবাদীনিহত হয়েছে। গত রবিবার থেকে ছত্তিসগড় সীমান্ত সংলগ্ন গাদচিরলি জেলায় মাও বিরোধী অভিযান চালায়ঢ রাজ্যর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার ১৫ মাওবাদীর মরদেহ উদ্ধার হলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়ায়। এসব মাওবাদীর দেহ রাজ্যে ইন্দ্রাবতী নদীতে ফুলে ফেঁপে ভেসে ওঠে।
এদিকে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রা ফদনবিশ সি-৬০ কমান্ডো টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য রাজ্যে সহযোগিতায় চালানো হয়েছে এই অভিযান। রবিবারেরঅভিযান মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাও বিরোধী অভিযান।
গত রবিবার থেকে চালানো মাও বিরোধী অভিযানটি ছিল সুপরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত। মাও বাদীদের আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটি উপেক্ষা করে পালানোর চেষ্টা করে।
সূত্রমতে, গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাজ্যে গাদচিরলি জেলায় পুলিশ মাও বিরোধী কমান্ডো অভিযান চালায়। সেখানে মাওবাদীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে ৬ জন নকশাল (মাওবাদী) গেরিলা যোদ্ধা নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৪ জন নারী ছিল।
এর আগে গত রবিবার একই জেলায় পুলিশের ৪ ঘণ্টার অভিযানে ১৬ মাওবাদী নিহত হয়েছিল। পুলিশের সেই অভিযান থেকে বাচতে মাওবাদীরা ইন্দ্রাবতি নদী দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ তাদের সেখানে গুলি করে। তখন কতজন মাওবাদীদের দেহে গুলি লেগেছিল তা জানতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে নদীতে বহু লাশ ভেসে উঠলে মাওবাদীদের নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত হয়। পুলিশ মাওবাদী ছাড়াও অন্যদের মৃতদেহ নদী থেকে তুলে মর্গে রাখছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের ডাইরেক্টর জেনারেল সতীশ মাথুর এসব জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, যে জেলায় পুলিশ মাও বিরোধী অভিযান চালিয়েছে, সেটি ছত্তিসগড় রাজ্য সংলগ্ন। গত মার্চে মাওবাদীদের রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৯ পুলিশ নিহত হয়েছিল। সূত্র : রয়টার্স , এনডিটিভি
বিবার্তা/সুমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]