ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ‘শুভায়ন’ হোমে থাকা দুই বাংলাদেশী কিশোরকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই দুই কিশোরকে বিজিবির হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। এর আগে হোম থেকে কিশোরদের এসকর্ট করে হিলি সীমান্তে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের অংশে হিলি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) ওসি শিপ্রা রায়, হিলির গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ মন্ডল, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ‘চাইল্ড লাইন’এর সেন্টার কোঅর্ডিনেটর সুরজ দাস, শুভায়ন হোমের কর্মকর্তা পরেশ হাজরা, বাংলাদেশ হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি আফতাব হোসেন এবং বিএসএফ ও বিজিবির কর্মকর্তারা।
প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় এই দুই কিশোর বালুরঘাটের সরকারি হোম ‘শুভায়ন’এ ছিল। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। রনির বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালের মুলাদি থানার পূর্ব তাইকা গ্রামে। রনির বাবা মোহাম্মদ এসকান মোল্লা পেশায় রিক্সাচালক। বাড়িতে দুই ভাই ছাড়াও রয়েছে এক বোন।
অন্যদিকে ময়মনসিংয়ের ফুলবাড়ি থানার তিতারছালা গ্রামে বাড়ি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের (১৪)। বাবা রফিক পেশায় রাজমিস্ত্রি। দীর্ঘদিন পর মুক্তির স্বাদ পেয়ে প্রত্যেকেরই চোখে-মুখেই ছিল আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের ছাপ।
চাইল্ড লাইনের সেন্টার কোঅর্ডিনেটর সুরজ দাস জানান, এদিন দুই বাংলাদেশী কিশোরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়া হল। ১ বছর ৮ মাস আগে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ তাদের আটক করে। তারপর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি) নির্দেশে চাইল্ডলাইনের মাধ্যমে শুভায়ন হোমে আশ্রয় পায় এই কিশোররা।
আজমির শরিফ দেখতে এসে ২০১৬ সালে বালুরঘাট রেল স্টেশনে বিএসএফের হাতে আটক হয় রনি। অন্যদিকে দেলোয়ারও ভারতে ঘুরতে এসে বিএসএফের হাতে আটক হয়। তবে শুধু রনি বা দেলোয়ারই নয়, শুভায়ন হোমে আটক আছে আরো ২৬ বাংলাদেশী কিশোর। যারাও মুক্তির জন্য দিন গুনছে।
বিবার্তা/ডিডি/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]