শিরোনাম
রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিসংযোগের কথা স্বীকার বিজেপি নেতার
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৪২
রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিসংযোগের কথা স্বীকার বিজেপি নেতার
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের দিল্লির একটি রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লাগানোর ঘটনা স্বীকার করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। মণীশ চান্ডেলা নামে বিজেপির যুব সংগঠনের ওই প্রভাবশালী নেতা টুইট করে নিজেই আগুন লাগানোর দায় স্বীকার করেছেন।


গত ১৪ ও ১৫ এপ্রিলের মধ্যবর্তী কোন একটি সময়ে দক্ষিণ দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায় রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই শিবিরটিতে প্রায় ২৩০ জন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বসবাস করত। তারা কেউ হতাহত না হলেও ওই আগুনে ৫০ টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তখন অনেকেরই জাতিসংঘ থেকে দেয়া বিশেষ শরণার্থী কার্ড হারিয়ে যায়। ওই ঘটনার পর ১৫ তারিখ ভোরে একটি টুইটে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করে বিজেপির ওই যুব সংগঠনের নেতা। তিনি জানান ‘হ্যাঁ, আমরাই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ঘর পুড়িয়েছি। ‘আমাদের হিরোরা দারুণ ভাল কাজ করেছে।’



এরপর গত ১৬ এপ্রিল ফের টুইটে আগুন লাগানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। ‘হ্যাসট্যাগ রোহিঙ্গা কুইট ইন্ডিয়া’ দিয়ে তিনি লেখেন হ্যাঁ আমরাই এই কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।’


বিষয়টি সামনে আসতেই সোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিস-ই-মুশাবরাত’ (এআইএমএমএম)সহ কয়েকটি সংগঠন।


এআইএমএমএম-এর তরফে দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক’কে চিঠি লিখে চান্ডেলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। অন্যদিকে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গতকাল দিল্লির থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ। চান্ডেলার টুইটের একটি স্ক্রিনশটও অভিযোগ পত্রের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়। পুলিশই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে প্রশান্ত টুইট করে জানান ‘দিল্লি পুলিশের তরফে তাকে আটক করার ব্যাপারে কোন উদ্যোগই নেয়া হল না এবং বিজেপির পক্ষ থেকেও চান্ডেলাকে বহিষ্কারের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হল না।’


যদিও বিতর্ক ওঠার পরই নিজের টুইটটি মুছে ফেলেন মণীশ চান্ডেলা। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার চিন্ময় বিশওয়াল জানান ‘তদন্তের সবদিক খোলা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির টুইটটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জিনিস পরীক্ষা করে দেখছি।’


উল্লেখ্য গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নতুন করে সহিংসতা তৈরি হওয়ায় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। কিন্তু দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এই রোহিঙ্গাদের দেশে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য ‘রোহিঙ্গারা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি, তাই তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’


বিবার্তা/ডিডি/সুমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com