যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস। এ উপলক্ষে বুধবার কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সকালে পার্ক সার্কাসের কাছে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্রর সামনে থেকে প্রভাত ফেরি বের হয়। এরপর তা কলকাতার পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্টে ক্রসিং-আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড ধরে পৌঁছায় ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণ পর্যন্ত। এরপর মিশন প্রাঙ্গনে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিয়ে সালাম-বরকতদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান হয়। শেষে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস নিয়ে এক বাণী পাঠ ও আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয় মিশন প্রাঙ্গণে।
এই দিনের মাহাত্ম তুলে ধরে ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির কাছেই এই দিনটা খুব গর্বের দিন, যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক মাতৃবাষা দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে। এর পিছনে বাংলাদেশের অবদান অনেক।
বাংলাদেশ মিশন ছাড়াও কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতেও বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় সারা রাতব্যাপী অনুষ্ঠান করেছে ভাষা ও চেতনা সমিতি। মঙ্গলবার বিকাল থেকে কলকাতার রবীন্দ্রসদন লাগোয়া একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে ছাতিম তলায় শুরু হয় এই অনুষ্ঠান, বুধবার ভোরে প্রভাতফেরির মধ্যে দিয়ে তা শেষ হয়।
ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর পেট্রাপোল সীমান্তেও ‘দুই বাংলা মৈত্রী সমিতি’র তরফে ভাষা শহীদ দিবস পালন করা হয়।
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসেও মর্যাদার সঙ্গে মহান দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিবার্তা/ডিডি/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]