শিরোনাম
ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধন
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৫০
ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধন
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চোত্তাখোলায় শনিবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধন করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। দীর্ঘ আট বছরের প্রচেষ্টায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ স্মরণে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার এই বিশালাকার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পার্কটি নির্মাণ করেছে। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ত্রিপুরার চোত্তাখোলায় ৭ কোটি রুপি খরচে ২০.২০ হেক্টর জমির ওপর গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানের এই পার্ক।


নবনির্মিত এই পার্কটি ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাক্ষী হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ্য করে মানিক সরকার জানান, যতদিন ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা চলবে, ততদিন পর্যন্ত এই চোত্তাখোলা শিবির থেকে যুদ্ধ করা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন উৎসর্গের কথা স্মরণ করা হবে। আমি সেই সব মুক্তিযোদ্ধাদেরকে স্যালুট জানাই। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথাও স্মরণ করেন মানিক সরকার।


এদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি অনুরোধও রাখেন মানিক সরকার। স্থলবেষ্টিত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারে অনুমতি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে মানিক সরকার বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বকেয়া ইস্যুগুলিকে পাশে রেখেই বাংলাদেশের উচিত ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিকে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দরকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া, যাতে উত্তরপূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যগুলি থেকে বিশ্বের অন্য প্রান্তে পণ্য, খাদ্যশষ্য, জ্বালানি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা যায়।


উদ্যানের আনুষ্ঠানিক সূচনা অনুষ্ঠানে মানিক সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার রাজস্ব আদায় মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, পর্যটন মন্ত্রী রতন ভৌমিক, বনমন্ত্রী নরেশ জামাতিয়া, লোকসভার সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত, এমএলএ সাধন দাস। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, শিক্ষাবিদদের একটি প্রতিনিধি দলও।


এই জাতীয় উদ্যানটিতে একটি যুদ্ধ জাদুঘর, উঁচু টিলা, সবুজ উপত্যকা, হ্রদ, গাছপালা, ভাস্কর্য, বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান ছাড়াও আরও অনেক উপাদান আছে। পার্কের ভেতরেই আছে একটি বিশাল ওয়াচটাওয়ার, যেখান থেকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করা যাবে পূর্ব বাংলাদেশের কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীর একাধিক অংশ। উদ্যানটির ভেতর বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশাল ভাস্কর্য রয়েছে।


বিবার্তা/ডিডি/শাহনেওয়াজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com