১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। ভারতের উত্তর প্রদেশে ঐতিহাসিক বাবরি মসিজদ ভাঙার ২৫ বছর পূর্তি আজ। ভারতীয় উগ্রবাদী হিন্দুদের হাত থেকে সেদিন রক্ষা পায়নি মুসলমানদের এই ঐতিহাসিক স্থাপনা।
ভারতীয় উগ্রবাদী হিন্দুদের উসকানিতে এ ঘটনার পর ভারতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে তাতে নিহত হয় প্রায় দুহাজার মানুষ। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার প্রস্তুতি চলছিল আগে থেকেই এবং ঘটনার আগের দিন একদল হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক এটির ‘ড্রেস রিহার্সেল’ দিয়েছিল। আলোকচিত্র সাংবাদিক প্রভীন জৈন ছবি তোলার জন্য এই হিন্দু স্বেচ্ছাসেবকদের অনুসরণ করছিলেন।
বাবরি ধ্বংসের আজকের দিনটিকে ‘শৌর্য ও বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করার ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। অযোধ্যা ও ফৈজাবাদ শহরের বাসিন্দাদের বাড়িতে দীপ জ্বালিয়ে দিনটি পালনের ডাক দিয়েছে বজরং দল।
অন্যদিকে অযোধ্যা ও ফৈজাবাদ শহরে মুসলিম সংগঠনগুলো দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করবে। পাশাপাশি বাম সংগঠন সিপিআই (এম), সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই (এম-এল) ও এসইউসিআইও ‘কালো দিবস’ হিসেবেই পালন করে থাকে দিনটি।
দিনটি ঘিরে অযোধ্যা শহরে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি পরীক্ষার জন্য ব্যাবহার করা হচ্ছে বম্ব ডিটেক্টর। উত্তর প্রদেশ পুলিশের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা ও ফৈজাবাদ শহরে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানও। দুই শহরেই নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। অযোধ্যা শহরে গাড়ি, হোটেল এবং ধর্মশালাগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, আজকের দিনে শুধু বাড়িতেই নয়, অযোধ্যা ও ফৈজাবাদ শহরের মন্দিরগুলোও সাজানো হবে। প্রথা মেনে অযোধ্যায় পরিষদের সদর দপ্তর করসেবকপুরমে ‘শৌর্য দিবস’ ও ‘বিজয় দিবস’ পালন করা হবে।
বিবার্তা/ইমদাদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]