শিরোনাম
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ১৮ লাখ রুপি বিল
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৩৮
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ১৮ লাখ রুপি বিল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নামী হাসপাতালে সাত বছরের মেয়ের ডেঙ্গুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১৮ লাখ রুপি বিল এসেছে। তারপর আবার মেয়েকেও বাঁচাতে পারেনি হাসপাতাল। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লীর গুরুগাওয়ে।


ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে ৩১ আগস্ট আদিয়া সিং নামে সাত বছরের ওই মেয়েকে ফর্টিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করায় তার বাবা জয়ন্ত সিং। আদিয়াকে ১৫ দিন চিকিৎসা করে হাসপাতাল এবং শেষ পাঁচদিন ভেন্টিলেটরেও রাখতে হয়। তবে শেষপর্যন্ত মেয়েকে বাঁচানো যায়নি।


পরিবারের এক ঘনিষ্ঠবন্ধু পুরো বিষয়টি টুইটারে জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান, হাসপাতালের বিলে ১৮ লাখ রুপির কথা বলা হয়েছে। মেয়েটিকে ৬৬০টি ইঞ্জেকশন দেয়ার দাবি করেছে হাসপাতাল। অর্থাৎ দিনে ৪০ টির বেশি, যা এককথায় অসম্ভব। সাথে ২৭০০টি গ্লোভসের কথা বিলে লেখা হয়েছে।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


পশ্চিম দিল্লীর দ্বারকা এলাকায় থাকেন জয়ন্ত। সেখানকার একটি হাসপাতাল থেকে ভালো চিকিৎসার জন্য মেয়েকে ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন জয়ন্ত। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন নিষ্ঠুরতা দেখাবে তা তিনি ভাবতে পারেননি।


পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে মেরোপেনেম নামে একটি ওষুধ দেয়া হয়, যার দাম ৫০০ রুপি। পরে আরো দামী ৩১০০ রুপির ওষুধ দেয়া হয়। সপ্তাহের ছুটির দিনে হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক থাকত না। প্রতিদিন হাসপাতালে কত খরচ হচ্ছে সেই তথ্য দেয়া হয়নি।


তারপরে ১৪ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, মেয়েটির ৮০ শতাংশ ব্রেন ড্যামেজ হয়ে গেছে। প্লাজমা ট্রিটমেন্টের জন্য ১৫ লাখ রুপি প্রয়োজন। এ কথা শুনে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।


পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে হয়ত আগেই মারা গিয়েছিল। টাকা খাওয়ার জন্য ফর্টিস হাসপাতাল এতদিন তাদের মেয়েকে চিকিৎসার নামে আটকে রেখেছিল।


যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ওই রোগীর চিকিৎসায় সকল মেডিকেল রীতি ও ক্লিনিক্যাল নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়েছে। মেয়েটি সেভার ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। যা পরে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমের দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে আইভি স্যালাইন ও অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা দেয়া। পরে মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেটরের সাহায্য নিতে হয়। সূত্র: এনডিটিভি ও ওয়ান ইন্ডিয়ার।


বিবার্তা/জাকিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com