প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে থেকেই একটু সময় বের করে কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে নিজের বাড়িতে কালীপুজো করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বহু দশক ধরে তার বাড়িতে হয়ে আসছে এই পুজো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজো উপলক্ষে পুরো বাড়ি লাল-নীল-হলুদ আলোকমালায় সেজে উঠেছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুজো শুরু হয়, চলে গভীর রাত পর্যন্ত। প্রতিবারের মতো এবারও উপবাস করে নিজেই পুজোর কাজে হাত লাগান তিনি। মায়ের জন্য খিচুড়ি ভোগ তৈরি করা, পুজোর প্রস্তুতি সবকিছুই মমতা নিজেই তদারকি করেন।
মমতার বাড়ির পুজো বলে কথা, তাই মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ-অভ্যাগত অতিথিদের লেগেই ছিল। আর মুখ্যমন্ত্রীও তাদের আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখেন নি।
তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি, সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার, সাংসদ-অভিনেতা দেব, রুদ্রনীল সেনগুপ্ত, যীশু সেনগুপ্ত, পরিচালক শ্রীকান্ত মেহতা, সৃজিত মুখার্জি সকলেই আসেন মমতার বাড়ির পুজোয়।
রাতের দিকে আসেন যুব তৃণমূলের সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। হাজির ছিলেন কলকাতায় বিদেশি দূতাবাসগুলির প্রতিনিধিরাও। আর মমতাও সেই চিরাচরিত নীল পাড়-সাদা শাড়ি ও পায়ে হাওয়াই চটি পড়ে সেই সব অতিথিদের আপ্যায়ন করেন।
পুজো উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসেন কলকাতা শহরের ‘নবনীড়’ বৃদ্ধাশ্রমের বয়স্করা। তারাও মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় অঞ্জলি দেন। দিদির পুজোয় উপস্থিত ছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। মুখ্যমন্ত্রীও সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসবভনের নিরাপত্তা বলয়ও কঠোর করা হয়েছিল।
বিবার্তা/ডিডি/ইমদাদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]