ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমেই বহু প্রতীক্ষিত তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।
সোমবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের সাথে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়ে ভারত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও তিনি জানান।
এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাম মধাব জানান, বাংলাদেশের সাথে তিস্তার পানি বণ্টন করার বিষয়ে ভারত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এই জিনিসটা হবে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের মধ্যে দিয়ে। আর এই লক্ষ্যেই আমরা বাংলাদেশের সাথে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছি। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক বিষয় এসেই যায়, যেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে দুই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশি হিসাবে আমাদের মধ্যে যা কিছু ভালো তা ভাগাভাগি করে নিতে হবে।
দলের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে একদিনের সফরে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ ভারতের অত্যন্ত নিকটতম প্রতিবেশি রাষ্ট্র। সীমান্ত আমাদের ভাগ করে দিলেও নদী আমাদেরকে জুড়ে দিয়েছে। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ সফরে গিয়ে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরায় বৃদ্ধি করতে আলোচনা করেছি পাশাপাশি নদীকে ব্যবহার করে ব্যবসা, বাণিজ্য, পর্যটন বৃদ্ধিতে আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে বকেয়া তিস্তা চুক্তি সমাধানের ব্যাপারে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলিও আশা প্রকাশ করেছেন। সোমবারই দিল্লিতে ফরেন করেসপনডেন্টস ক্লাব (এফসিসি) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আলি জানান, আমি নিশ্চিত যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যখন ঢাকা সফর করবেন তখন আমরা এই ইস্যুতে আমরা আমাদের মতবিনিময় করব এবং ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আমরা কতটা সমর্থ হয়েছি সেটাও দেখাবো। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিস্তার সমাধান করার চেষ্টা করবো।
আলি আরো জানান, এটি অতি স্পর্শকাতর একটি বিষয় এবং এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করেই কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা তো রীতিমতো বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে মমতার আপত্তিতে তা ভেস্তে যায়। এরপর দুই দেশের তরফে বিভিন্ন স্তরে একাধিকবার চেষ্টা সত্ত্বেও তিস্তা চুক্তি বাস্তবের মুখ দেখেনি।
বিবার্তা/ডিডি/শাহনেওয়াজ/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]