শিরোনাম
ভারতের ১৫ শতাংশ যৌনকর্মীই কিশোরী
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ০২:১৫
ভারতের ১৫ শতাংশ যৌনকর্মীই কিশোরী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের দিয়েই চলছে রমরমা যৌন ব্যবসা। মুম্বাইয়ের অন্তত ১৫ শতাংশ যৌন কর্মী হিসেবে নাবালিকারা কাজ করছে বলে জানা যায়। আইজেএম এবং মহারাষ্ট্রের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এ সব তথ্য জানা যায়।


২০১৫ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা যায় গত এক দশকে শিশু ও নাবালিকা পাচারের সংখ্যা বেড়েছে ১৪ গুণ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই অন্ধকার জগতে পা রেখেছে ধর্ষণের পর কিংবা দারিদ্রের সাথে লড়াই পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। দেহ ব্যবসার সাথে যুক্ত এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।


অন্যদিকে তাদের আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে দেয়া হয় হরমোন ইনজেকশন, গর্ভ নিরোধক এবং মোটা করার ওষুধ কারণ তাদেরকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ৬ জন পুরুষের কাছে নিজের শরীর বিলিয়ে দিতে হয়। এর জন্যে হাতে আসে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তবে এর সিংহভাগই চলে যায় দালালের হাতে।


মুম্বাই, বিরার, থানে এবং নবি মুম্বাইয়ের মোট ১১৬২টি যৌনপল্লীর এক লাখ ৮২ জন যৌনকর্মীর ওপর করা হয় এক সমীক্ষা। তাতে দেখা যায়, গ্র্যান্ট রোডে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক যৌনপল্লী রয়েছে (৪৪৫)। এর পরে তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিওয়ান্ডি (৩৮৯), অন্ধেরী, ডোম্বিভালি, ভান্দুপ, চেম্বুর, উল্লাসনগর এবং কামাথিপুরা।


অন্যদিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনকর্মীর সংখ্যা সর্বাধিক পানভেলে ১৮.৭ শতাংশ এবং বোরিভালিতে ১২.৫ শতাংশ।


দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিশোরীরা থাকে দালালদের নিশানায়। বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বেদিয়া প্রজাতির কিশোরীদেরও চাহিদা দেহ ব্যবসায় প্রবল। এদের ৭১ শতাংশেরই বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। মুম্বাইয়ের এই দেহ ব্যবসা থেকে প্রতিবছর আমদানি করছে দুই হাজার ৫০ কোটি টাকা। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস



বিবার্তা/আমিরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com