শিরোনাম
স্বাধীনতা দিবসে বার্তা মোদির
‘গুলি বা গালি দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান নয়’
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৪:০৩
‘গুলি বা গালি দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান নয়’
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মঙ্গলবার ভারতজুড়ে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ৭১তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসে নয়াদিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সেনাবাহিনীর তরফে ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একটি কুচকাওয়াজেও অংশগ্রহণ করে। এরপর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।


জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে আশাপ্রকাশ করে মোদি বলেন, ‘গুলি দিয়ে কিংবা গালি দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, একমাত্র ভালবাসাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। সন্ত্রাসবাদীদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে বলেও বার্তা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আমি কাশ্মীরের যুবকদের আগেও অনেকবার বলেছি, আবারও বলতে চাই যে তারা যেন মূল স্রোতে ফিরে আসে। গণতন্ত্রে আপনাদের কথা বলার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’


লালকেল্লায় ৫৬ মিনিটের ভাষণে দুর্নীতি, নোট বাতিল, কালো রুপি, আতঙ্কবাদ, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, তিন তালাক, অসহিষ্ণুতাসহ একাধিক ইস্যু নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী।


স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে এদিন সকালেই দিল্লির লালকেল্লায় পৌঁছে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী। প্রথমেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সাথে সাথেই সেনাবাহিনীর ব্যান্ড পার্টি জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে সেনার তরফে ‘গার্ড অব অনার’ও দেয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একটি কুচকাওয়াজেও অংশগ্রহণ করে। এদিনের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি.দেবগৌড়া, লোকসভার স্পীকার সুমিত্রা মহাজন, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে.এস. খেহর, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত একাধিক রাষ্ট্রের রাষ্টদূতরাও উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতা দিবস কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে শেষ করার জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ঐতিহাসিক লালকেল্লা। আকাশপথেও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।


মোদি বলেন, বিশ্বাসের নামে কোনরকম সহিংসতাকে বরদাস্ত করা হবে না। গোমাংস ভক্ষণ ও গরু পাচারের নামে দেশ জুড়ে দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলার অভিযোগ উঠছে সে নিয়েও গোরক্ষকদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন ব্যক্তির বিশ্বাসের নামে সহিংসতা চালানোটা মোটেই সুখকর বিষয় নয়। ভারতে এটা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শান্তি, ঐক্য এবং মৈত্রী দেশের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের ভেদাভেদ কখনওই দেশের ও মানুষের উপকারে লাগতে পারে না।’


সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের হাসপাতালে ৬০জন শিশুর মৃত্যু ও একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীরেও স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। সকাল দশটা নাগাদ কলকাতার রেড রোডে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।


ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে স্বাধীনতা দিবস পালন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সেখানে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’এর কর্মকর্তারাও। দুই দেশের যাত্রী ও সাধারণ মানুষও ওই অনুষ্ঠান উভোগ করেন। এউপলক্ষ্যে বিজিবি’এর হাতে মিষ্টি ও ফুল তুলে দেয় বিএসএফ।


বিবার্তা/ডিডি/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com