শিরোনাম
ভোপালের জেল পলাতক সেই ৮ বন্দি নিহত
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:৪২
ভোপালের জেল পলাতক সেই ৮ বন্দি নিহত
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের ভোপালের সেন্ট্রাল জেল থেকে পালানো নিষিদ্ধ ঘোষিত স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (এসআইএমআই) আট সদস্য পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। সোমবার ভোপাল শহরের অদূরে ইন্তখেদি গ্রামে তাদের মৃত্যু হয়।


স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, রবিবার মধ্যরাতে জেল থেকে পালানোর পরই জঙ্গিদের খোঁজে শহরজুড়ে চিরুণী তল্লাশি চলছিল। পলাতক জঙ্গিদের খোঁজ দিতে পাঁচ লাখ রুপি ঘোষণাও করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে।


পুলিশের তরফে জানানো হয়, পলাতক আট জঙ্গিই সকালে ভোপাল শহর থেকে ১০ কিমি দূরে ইন্তখেদি গ্রামের একটি নদীতে মুখ ধুচ্ছিল। সেসময় গ্রামবাসীরা তাদের দেখে পুলিশকে জানায়। এরপরই এটিএস’র পুলিশ এসে তাদের ঘিরে ধরে।


রাজ্য পুলিশের আইজি যোগেশ চৌধুরী জানান ‘আমরা ৮ জঙ্গির খোঁজ পেয়ে সেখানে গেলেই তারা আমাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এরপর পুলিশের তরফে পাল্টা গুলি চালাতে জঙ্গিরা নিহত হয়।’


নিহতরা হলেন আমজাদ, জাকির হোসেন সিদ্দিক, মোহাম্মদ সালিক, মুজিব শেখ, মেহমুদ গুড্ডু, মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, আকিল এবং মজিদ।


উল্লেখ্য, রবিবার রাত ২টা থেকে ৩টার দিকে জেলের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গলা কেটে খুন করে পালিয়ে যায় ওই আট জঙ্গি। জেলের লম্বা পাঁচিলে চাদর দিয়ে দড়ি টাঙিয়ে পালায় জঙ্গিরা।


মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং জেলের ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, ‘এই ঘটনার পুরোপুরি তদন্ত করা হবে। জেলের ভেতরে থাকা বন্দিদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে।’


জেল পালানোর ঘটনায় তিন নিরাপত্তা রক্ষীকে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেল ভেঙে বন্দি পলাতকের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।


পুলিশের সূত্রমতে, পলাতক আট সদস্যই ২০০৮ সালে আমেদাবাদ সিরিয়াল বোমা বিস্ফোরণ মামলা এবং দুই বছর আগে পুনে, করিমনগর ও চেন্নাইয়ের বিস্ফোরণেও জড়িত ছিল।


গত তিন বছরে মধ্যপ্রদেশের জেল থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটনা ঘটলো। ২০১৩ সালেও মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়ারা জেল ভেঙে পালানোর ঘটনায় জড়িত ছিল এসআইএমআই’র তিন সদস্য। সেসময় জেলের বাথরুমের পাঁচিল ভেঙে পালায় বন্দিরা।


১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এসআইএমআই। উগ্র ধর্মীয় এই জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে নাশকতায় মদদ দেয়ার বহু প্রমাণ রয়েছে। ২০০৬ সালে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।


বিবার্তা/ডিডি/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com