শিরোনাম
ভারতে পাসপোর্ট করতে গিয়ে বাংলাদেশী আটক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৭, ২০:৫৪
ভারতে পাসপোর্ট করতে গিয়ে বাংলাদেশী আটক
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভুয়া ভারতীয় ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করার অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে ভারতের বিহার রাজ্যের পুলিশ। মঙ্গলবার ওই যুবককে পাটনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক করা হয়।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আহমেদ-আল-ফাহাদ নামে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফাহাদের দাবি তিনি বিহারের মধুবনি জেলার খাজৌলি পুলিশ থানার অধীন একটি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


ফাহাদের আটকের খবর নিশ্চিত করে পাটনা পুলিশের (মধ্য) এসপি চন্দন কুমার কুশওয়া জানান, ‘বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বামনাখালি-রাইমনি গ্রামের বাসিন্দা ফাহাদ। দালাল মারফত পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, ভারতে প্রবেশ করে সে কিছুদিন কলকাতায় অবস্থান করেছিল, সেখান থেকে মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে প্রায় বিশ দিনের বেশি সময় ছিলেন তিনি। এরপর মধুবনিতে চলে আসে ফাহাদ। সেখানে দীপক কুমার চৌধুরী নামে এক ভারতীয় তাকে উপসাগরীয় অঞ্চলে কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়’।


পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘দীপকের মা খাজৌলির গ্রাম প্রধান উষা দেবীর বাড়িতেই গত তিন মাস ধরে অবস্থান করছিলেন ফাহাদ। এসময় ভারতীয় পাসপোর্ট পাইয়ে দেয়ার নামে উষা দেবী ফাহাদকে কিছু ভারতীয় নথিপত্র সরবরাহ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ওই সমস্ত নথির প্রেক্ষিতে ভারতের আধার কার্ড যোগাড় করে ফাহাদ।


আটক যুবক জানিয়েছেন, কাজের জন্য সে উপসাগরীয় অঞ্চলে যেতে চেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশিদের সেখানে কাজের সুযোগ না থাকায় ভারতীয় পাসপোর্ট জোগাড় করে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আর সেই কারণেই আধার কার্ড দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করতে পাটনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যায়। কিন্তু নথিপত্র দেখেই সন্দেহ হয় পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের। তাতে দেখা যায় আধার কার্ডে উল্লেখিত মোবাইল নম্বরটি উষা দেবীর, তাছাড়া ওই পাসপোর্টের আবেদনপত্রে হুকুমলাল ও রাম রতন নামে দুই ব্যক্তিকে স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। এরপরই খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে ফাহাদকে আটক করে।


ফাহাদ আরো জানিয়েছেন, ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে দালালকে মোটা অর্থ নিয়েছিল। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দীপক চৌধুরী, তার মা উষা দেবীর সঙ্গে হুকুমলাল ও রাম রতন নামে আরও দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।


পুলিশ জানায়, ‘ফাহাদের বিভিন্ন নথি পরীক্ষার সময়ই পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি সন্দেহের কারণ আবেদনকারী ওই ব্যক্তি স্থানীয় মৈথিলি কিংবা হিন্দী কোনো ভাষাতেই কথা বলতে পারেননি। তাছাড়া আধার কার্ডে উল্লেখিত বাড়ির ঠিকানাও ঠিকমতো স্মরণ করতে পারছিলেন না ওই যুবক’।


বিবার্তা/ডিডি/পলাশ


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com