বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক ড. জাকির নায়েক এবং তার এনজিও ইসলামিক রিসার্চ ফাইন্ডেশনে (আইআরএফ) আলাদাভাবে সমন পাঠিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) অনুযায়ী শুক্রবার জাকির নায়েককে সমন পাঠায় ইডি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাকির নায়েক ও আইআরএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ইডি।

ইডির কর্মকর্তারা জানান, জাকির নায়েক যেহেতু দেশের বাইরে তাই তাকে সমন পাঠানো হয়েছে। পৃথক সমন পাঠানো হয়েছে তার এনজিও’তেও। জাকির নায়েককে বলা হয়েছে চলতি মাসের মধ্যেই তাকে ইডির মুখোমুখি হতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জাকিরের পুরো বক্তব্যই রেকর্ড করে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি জাকির নায়েক ও তার এনজিও আইআরএফের ৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার কথা ঘোষণা করেছে এনআইএ। পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় প্রায় ১০০ কোটি রুপি বিনিয়োগের অভিযোগও উঠেছে জাকিরের এনজিও’এর বিরুদ্ধে। ওই টাকার উৎস কী তা জানতেই প্রধানত সমন পাঠানো হলো।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাইরে আছেন জাকির নায়েক। কিন্তু গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার পরই জাকির নায়েকের নাম প্রকাশ পায়। জানা যায় হামলায় যুক্ত দুই জঙ্গি জাকিরের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসার পরই জাকিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ভারত সরকার। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ১০ নভেম্বর আইআরএফ-কে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণপ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএপিএ) ধারায় অভিযোগ এনে জাকিরের এনজিও’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিবার্তা/ডিডি/আকবর