ভারতের সঙ্গে আলোচনা বা সংলাপ চাইলে পাকিস্তানকে অবশ্যই সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার দিল্লিতে দ্বিতীয় তম ‘রাইসিনা ডায়লগ’-এর উদ্বোধন করে মোদি একথা বলেন।
মোদি বলেন, আমি লাহোর সফরে গিয়েছিলাম; কিন্তু ভারত একা শান্তির পথে চলতে পারে না। পাকিস্তানকেও এই পথের সামিল হতে হবে।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির রূপরেখা তুলে ধরেন মোদি। প্রতিবেশি চীন সম্পর্কে কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে মোদি বলেন, দুইটি প্রতিবেশি দেশের মধ্যে পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক; কিন্তু আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদেরকে সংবেদনশীলতা দেখানো উচিত।
মোদি বলেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনে ভারত কখনওই নিজের দায়িত্ব থেকে দূরে থাকেনি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাসই হল ধর্ম থেকে সন্ত্রাসকে পৃথক করা। সন্ত্রাসীর তত্ত্বও খারিজ করে দিয়ে বলেন আমাদের যে প্রতিবেশিরা সহিংসতাকে প্রশয় দেয়, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে রপ্তানি করে তাদেরকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং উপেক্ষা করতে হবে।
২০১৬’এর জানুয়ারিতে পাঠানকোটে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা ও উরিতে পাক মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলায় ১৯ সেনা জওয়ানের নিহত হওয়ার পরই ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পাশাপাশি যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনার বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল এবং মালদ্বীপসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে নিজের রূপরেখাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর প্রতি আমার যে লক্ষ্য তা থেকেই পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের বিজেপি সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
মোদি বলেন, আমরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখি। তবে শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থ দেখাটাই আমাদের সংস্কৃতি ও আচরণ নয়। একটি বর্ধনশীল সুসংহত প্রতিবেশিও আমাদের স্বপ্ন। আমরা আমাদের সব প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গেই অংশীদার হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টার ফল সেখানে দেখার মতো। অনেক বিপত্তি সত্ত্বেও আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠান স্থাপনে আমাদের অংশীদারত্ব সহায়তা করছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গেও আমাদের রাজনৈতিক বোঝাপড়া সৃদৃঢ় হয়েছে এবং স্থল ও সমুদ্র সীমানার সমাধান হয়েছে।
আগামী তিন দিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। বিশ্বের ৬৫ টি দেশের প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
বিবার্তা/ডিডি/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]