শিরোনাম
পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে মামলা
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:২৪
পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে মামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভুঁড়িধারী পুলিশ কী করে অপরাধীদের ধাওয়া করে ধরবে? কাজের অতিরিক্ত চাপেও পুলিশকে শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতে হবে- এমনটিই প্রশ্ন তুলেছে ভারতের কলকাতা হাইকোর্ট।

 

রাজ্যটির হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পুলিশের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন কমল দে নামের এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের এক শ্রেণির কর্মী ভুঁড়ি থাকার কারণে শারীরিকভাবে সক্ষম নন। তাদের সক্ষম হওয়া দরকার বলে আদালতে আবেদন জানান তিনি।

 

শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে প্রশ্ন তুলেছেন, ভুঁড়িধারী পুলিশের পক্ষে শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা যায় কি না? পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা (ফিটনেস) ও সতর্কতা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে অথবা এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কী নীতি রয়েছে হলফনামা আকারে তা আদালতে জমা দিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

 

আদালতে আবেদনকারী কমলবাবুর বলেন, কোথাও দেখা যাচ্ছে মোটাসোটা, ভুঁড়িধারী পুলিশকর্মী থানায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন, কোথাও দেখা যাচ্ছে বসে বসে ঘুমাচ্ছেন। তার মতে, ভুঁড়ির জেরেই চোরের পেছনে ছুটতে গিয়ে তারা হাঁপিয়ে ওঠে। এ সুযোগে চোর পালিয়ে যায়।

 

প্রমাণস্বরূপ শুনানিতে বেশ কয়েকজন ভুঁড়িধারী পুলিশের ছবিও পেশ করেন কমলবাবু। তাদের কেউ অফিসার, কেউবা কনস্টেবল। কলকাতার একটি থানার ওসি’র ছবি দেখিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ভুঁড়ি নিয়েই ওই অফিসার ২০১৫ সালে পুলিশ মেডেল পেয়েছেন।

 

আবেদনকারীর বক্তব্য, পুলিশের মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা কমে গেলে তাদের পক্ষে অপরাধীদের ধরা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা অথবা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। সে কারণে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজার পত্রিকা

 

বিবার্তা/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com