শিরোনাম
খাদির ক্যালেন্ডারে গান্ধীজি’র জায়গায় মোদী
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৪৯
খাদির ক্যালেন্ডারে গান্ধীজি’র জায়গায় মোদী
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

২০১৭ সালের খাদির ক্যালেন্ডার থেকে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর পরিবর্তে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুধু ক্যালেন্ডারই নয়, গান্ধীজির ছবি সরানো হয়েছে খাদির ডাইরি থেকেও। কুর্তা-পাজামা, ওয়েস্টকোট পরিহিত মোদিকে গান্ধীজির ভঙ্গিতেই ক্যালেন্ডারে চরকা কাটতে দেখা যাচ্ছে।


খাদির ক্যালেন্ডারে এরকম এক ছবি দেখে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ করছেন সংস্থার কর্মীরাই। এদিনই মুম্বইয়ের ভিলে পার্লেতে খাদির সদর দফতরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। তাদের দাবি খাদি ও গান্ধীজি সমার্থক। তাকে কেন ক্যালেন্ডার থেকে সরানো হবে?


বিষয়টি নিয়ে ট্যুইটে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তোপ দেখিছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসতে যাত্রা উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি উত্থাপন করে মোদিকে নিশানা করে মমতা ব্যানার্জি বলেন ‘গান্ধীজি হলেন জাতির জনক। সেই গান্ধীর চড়কায় মোদি বাবুর ছবি থাকছে। আপনারা কল্পনা করতে পারছেন? প্রতিবাদ করলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গান্ধীজি চড়কা কাটছেন এটা আমাদের দেশের একটা প্রতীক। গান্ধীর জায়গায় উনি বসে পড়েছেন। কয়েকদিন পর দেখবেন নতুন নোট ছাপা হবে সেখানেও ছবি লাগিয়ে.... আমি জানি না কি হচ্ছে দেশে কি চলছে?


তবে খাদির ক্যালেন্ডার থেকে গান্ধীজির ছবি সরানোর বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের দাবিকে ‘ভিত্তিহীন ও অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সূত্রে খবর সরকারের তরফে এর সপক্ষে বলা হয়েছে খাদি ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন (কেভিআইসি)-এর একাধিক প্রচারণায় জায়গায় গান্ধীর ছবি ব্যবহার করা হয়নি। ১৯৯৬, ২০০২, ২০০৫, ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৬ সালেও খাদির ক্যালেন্ডার ও ডায়েরিতে গান্ধীজির ছবি ব্যবহার করা হয়নি। এমন কোনো আইন নেই যে শুধুমাত্র গান্ধীজির ছবিই ব্যবহার করতে হবে’। তাছাড়া গান্ধীকে সরিয়ে সেখানে মোদির ছবি ব্যবহার করা হয়েছে এই অভিযোগও সঠিক নয়।


খাদির চেয়ারম্যান বিনয় সাক্সেনা সংবাদ সংস্থাকে জানান, এই ধরনের ঘটনা একেবারেই ব্যতিক্রমী নয়। মোদীজি খাদির একজন প্রচারক। দেশে খাদিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন। উনিই এখন খাদির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। খাদির পণ্য সামগ্রী বিক্রির বিষয়ে মোদির আর্জিতে ২০১৬ সালে খাদির বিক্রি ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করেন সাক্সেনা।


বিবার্তা/ডিডি/পলাশ


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com