প্রতিবারের মতোই এবারও প্রথা মেনে চেনা ভঙ্গীতে চন্ডী পাঠ সারলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। চন্ডীপাঠ ছাড়াও সপ্তমীর অনেক কাজই নিজে হাতে করেন তিনি। একাজে তার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন বাড়ির পুরোহিত, ছেলে অভিজিৎসহ পরিবারের অন্যান্যরা।
শনিবার রীতিমতো শাস্ত্রমতে সপ্তমীর নবপ্রত্রিকাকে গোসল করিয়ে তারপর শুরু হয় পুজোপাঠ। এদিন সকালেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে পয়ে হেঁটে কুঁয়ে নদী থেকে ঘট ভরে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে কলাবউ গোসল করানোসহ প্রতিটি কাজই নিজে হাতে করেন রাষ্ট্রপতি।
দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে নয়, একেবারে বাড়ির মানুষ হয়েই সপ্তমীর প্রতিটি কাজ তদারকি করেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এর আগে ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যাবেলা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মিরিটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেই পুজোর সব কাজ নিজে থেকে তদারকি করেন তিনি। পুজো নিয়ে আলোচনা করে নেন তার পরিবারের অন্যানদের সাথেও। পুজোর চারটি দিন এখানেই কাটাবেন তিনি।
১৮৯৬ সালে প্রথম এই পুজোর শুরু হয়েছিল, সেই থেকে আজও চলে আসছে মুখার্জি বাড়ির এই পুজো। পুজোর এই কয়টা দিন গ্রামের অন্য বাড়িগুলোতে রান্না হয় না, কারণ মিরিটির এই ব্রাক্ষ্মণ বাড়িতেই এই চারদিন গ্রামের মানুষ ভোগ খাওয়ানো হয়। আর সেকাজে সাহায্য করেন গ্রামেরই বিশ-ত্রিশ জন নারী।
প্রণববাবুর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় গণমাধ্যমে জানান, ‘এবার ১১৯ বছরে পদার্পণ করল আমাদের বাড়ির পুজো। রাষ্ট্রপতি হিসাবে বাবার এটি শেষ পুজো। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হল পরিবারের তরফে যে কোন একজন সদস্যকে প্রত্যক্ষভাবে পুজোয় অংশগ্রহণ করতে হবে, সেইমতো আমার ঠাকুরদাদা থেকে শুরু করে আমার জ্যেঠু, বাবা সরাসরি জড়িত। আরেকটি হলো জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের এই বাড়ির নারীরা রান্না করে এখানে খাওয়ায়।’
এদিকে বাড়ির পুজোয় যোগ দিতে আসার জন্য গোটা মিরিটি গ্রাম নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য মিরিটির বাড়ি এবং মন্দির চত্বরে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। বাড়ির মূল দরজায় বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। চলছে পুলিশি টহল, রীতিমতো পরিচয়পত্র দেখিয়ে মুখার্জি ভবনে ঢুকতে হচ্ছে আত্মীয়দেরও।
বিবার্তা/ডিডি/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]