তাবলীগ জামাতের শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ কান্দলভিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২৮ মার্চ থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে তাবলিগ জামাতের বড় জমায়েত হয়েছিল। সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। নিজামুদ্দিনের ওই মসজিদে যোগ দেয়ার পর মোট সাত জন মারা গেছেন। এরই মধ্যে মসজিদটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ আগেই নোটিশ দিয়েছিল সাদকে। তবে গত ২৮ মার্চ থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। এফআইআরে আর যাদের নাম রয়েছে- ড. জিশান, মুফতি শেহজাদ, এম সাইফি, ইউনুস, মোহাম্মদ সালমান, মোহাম্মদ আশরাফ রয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি নিউজের খবরে বলা হয়, ওই জামাত থেকে ফিরে দিল্লিতে ২৪ জন, তেলেঙ্গানায় ৬ জন, আন্দামানে ১০ জন, কাশ্মীরে একজন ও তামিলনাড়ুতে ৫০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওই জামাতে ৮২৪ জন বিদেশি ছিলেন। ইতোমধ্যে পুলিশ সেই তথ্য সংগ্রহ করেছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ওই আবেদনে উল্লেখ করে যে, ওই জামাতে উপস্থিতদের মধ্যে ৯৪ জন ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার, ১৩ জন কিরগিস্তানের, ৯ জন বাংলাদেশের, ৮ জন মালয়েশিয়ার, ৭ জন আলজেরিয়ার। এ ছাড়া তিউনিসিয়া, বেলজিয়াম ও ইতালি থেকে একজন করে এসেছিলেন। বাকিরা ছিলেন ভারতীয়। ওই জামাতে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা শহরের ১৬টি মসজিদে ছিলেন।
এদিকে গত ৩৬ ঘণ্টায় ওই মার্কাজ থেকে ২ হাজার ৩৬১ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৬১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। এখান থেকে বিভিন্ন রাজ্যে গেছেন মানুষজন। ফলে সব রাজ্যকেই কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]