শিরোনাম
কলকাতা যেভাবে ডেঙ্গু দমনে সফল
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০১৯, ০৮:৪৪
কলকাতা যেভাবে ডেঙ্গু দমনে সফল
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীসহ সারা দেশে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীতে ভরে গেছে দেশের সব হাসপাতাল-ক্লিনিক। সরকারি হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন করে ছয়শর বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন।


এ হিসাবে প্রতি ৩ মিনিটে কোনো না কোনো হাসপাতালে নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলো থেকে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিন।


এদিকে বাংলাদেশ যেখানে ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে ভারতের কলকাতা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চান।


কলকাতার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিবিসি একটি প্রতিবেদন করেছে। যেখানে অতীন ঘোষ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। তাদের মধ্যে কেউ যদি ডেঙ্গুর ভাইরাস নিয়ে আসেন, তা থেকে এখানেও রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই বাংলাদেশ চাইলে আমরা যে কোনোভাবে সহায়তা করতে রাজি।’


তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো পৌরসভা যদি আমাদের কাছে সাহায্য চায়, তাহলে আমরা তাদের গিয়ে হাতে-কলমে দেখিয়ে দিয়ে আসতে পারি- কীভাবে সারা বছর ধরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজটা করি।’


জানা যায়, কয়েকবছর ধরেই কলকাতা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রিত। অথচ বাংলাদেশে এ রোগের প্রকোপ শুরু হলেই তা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কলকাতা করপোরেশন এবার সয়ংক্রিয়ভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তাদের কার্যক্রমে যোগ হচ্ছে ড্রোন।


কলকাতা করপোরেশনের কোথাও পানি না জমে থাকে। শহরের প্রতিটি হাসপাতাল নার্সিং হোম বা পরীক্ষাগারে রোগীদের কী কী রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে, কী ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে; প্রতিদিনের হিসাব রাখা হয়। ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয়।


কলকাতার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই আমাদের ২০ থেকে ২৫ জন করে কর্মী আছেন, যাদের মধ্যে একদল প্রচারের কাজ চালায়। অন্য দল পানি জমছে কিনা সেটার ওপরে নজর রাখে। আছে ১৬টি র‍্যাপিড অ্যাকশন টিম। তাতে ৮ থেকে ১০ জন লোক থাকে সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে, গাড়িও থাকে তাদের কাছে। কোনো জায়গায় ডেঙ্গুর খবর পাওয়া গেলে দ্রুত তারা সেখানে পৌঁছে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণের কাজ করে।


এখনো অনেক বহুতল বা সরকারি ভবনে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। যেসব জায়গায় পানি জমে থাকে করপোরেশনের কর্মীরা সেগুলোর তালিকা তৈরি করে। পরে ভবনগুলোকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তাছাড়া পানি পরিষ্কারের বিলও আছে, যা বাড়ির বার্ষিক করের বিলের সঙ্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়।


নজরদারি আরও ভালো করে চালানোর জন্য এবার আকাশে ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে করপোরেশন। যেটি থেকে মশার মারার জন্য ওষুধ বা তেল ছিটানো যাবে। তাছাড়া শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গড়তে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


একটি অডিট টিম ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার গণনা করে। আর এতে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিদ্ধান্ত দেন রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে কিনা।



বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com