যে কোনো খাবার খাওয়ার পর শরীরে সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে।
শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে। ডায়াবেটিস নির্মূল সম্ভব নয় তবে একটু সচেতন থাকলেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত ফল খেতে সাবধানতা অবলম্বন করে থাকেন। কেননা কিছু ফল আছে যা অতি সহজেই রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এমনও ফল আছে যা খেতে বাধা নেই। অর্থাৎ যত ইচ্ছা ততো খেতে পারবেন। যা খেলে ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
জেনে নেই সেই ফলগুলো কি কি:
কালো জাম
কালো জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। ফলটি রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও কালো জামের বীজ গুড়ো করে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জামরুল
জামরুলে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারী। এই ফল রক্তের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই ফল যত বেশি খাবেন ততো ভাল।
কামরাঙ্গা
টক ফল কামরাঙ্গায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
আমড়া
আমড়া একটি পুষ্টিকর টক ফল। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি খুবই উপকারী।
আমলকী
টক ও কষ জাতীয় ফল আমলকী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ২টি করে আমলকী খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
জাম্বুরা
জাম্বুরা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফলটি স্বাদে টক-মিষ্টি। যত ইচ্ছা ততো খাওয়া যাবে এই ফল।
কচি ডাব
শাঁসযুক্ত ডাবের পানি মিষ্টি হয়ে থাকে কিন্তু কচি ডাবের পানি স্বাদে লবণ। ডায়াবেটিসের কোন ক্ষতি করে না বরং উপকারই করে থাকে কচি ডাব।
যেকোনোটক জাতীয় ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সবারই উচিত প্রতিদিন এই ফলগুলো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]