শিরোনাম
শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করবে প্রাকৃতিক খাবার
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:১৪
শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করবে প্রাকৃতিক খাবার
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শিশুর জন্য জন্মের পর প্রথম এক হাজার দিনের খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্ববহ। কারণ এ সময় শিশুর মস্তিষ্কের কাঠামো ও সংযোগগুলোর গঠন তৈরি হয়। ফলে এ সময় শিশুর নিয়মিত খাদ্যতালিকায় মস্তিষ্ক গঠনে সহায়ক খাবারের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন।


শিশুর প্রথম ৫ বছরে প্রায় ৮৫ ভাগ বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটে। ফলে শিশু বাড়ন্ত অবস্থায় ভাষা, রঙ, শব্দ, সংখ্যা সহজে বুজতে পারে। শুধু তাই না, শিশু সামাজিক মেলামেশা ও ছোট-খাটো দক্ষতাও শিখতে শুরু করে। শিশুর এই বুদ্ধিবিকাশে অনেকগুলো কারণ সহায়ক হিসাবে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবার তার মধ্যে অন্যতম।


এই নিয়ে গবেষণায় মার্কিন শিশু বিশেষজ্ঞদের সংস্থা আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস (এএপি) জানিয়েছে, মস্তিষ্ক কার্যক্ষমতার ঘাটতিকে সারা জীবনের জন্য এড়াতে হলে শিশু বয়সেই খাদ্যতালিকায় মস্তিষ্কের গঠন সহায়ক পুষ্টি উপাদান যোগ করতে হবে। কারণ মস্তিষ্কের গঠনের জন্য এ সময়টাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, শিশুর নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এ ধরনের পুষ্টি উপাদান যুক্ত করার বিষয়টি পিতা-মাতাকে নিশ্চিত করতে হবে।


দেখে নিতে পারেন যে ৫টি প্রাকৃতিক খাবার আপনার শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করবে।


গ্রিক দই


না না, দই খেতে সুদূর গ্রিস দেশে যাবার দরকার নেই। ঘরেই বানাতে পারেন এই পুষ্টিকর খাবারটি। এই বিশেষ দইটিতে অন্যান্য দইয়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রোটিন। এতে অবশ্য ফ্যাটও থাকে। তবে তাতে ক্ষতি তো নেই, বরং আছে উপকার। মগজের কোষগুলো কে দারুণ চাঙা করে তুলতে পারে।এই খাবারটি রক্ত পরিবহন প্রক্রিয়া দ্রুততর করে এবং সহজেই মগজে রক্ত পৌঁছে দেয়।


ডিম


ডিমে আছে প্রোটিন এবং আরো কিছু পুষ্টিকর উপাদান যা শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিম দিতে পারেন সকালে নাস্তার সময় অথবা সন্ধ্যার দিকে, রাতের খাবারের ঘন্টা দুয়েক আগে। এটি যেমন এনার্জি যোগায়, তেমন ক্ষুধাও মেটায়। প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেটের দারুণ এক মিশ্রণ!


সবুজ শাক


পপাইকে দেখেছেন তো, স্পিনাচ খেয়ে কীভাবে রাতারাতি অতি শক্তিশালী হয়ে যায়! আপনার শিশুটিও এমন হয়ে উঠুক তাই চান? এর সহজ সমাধান হলো সবুজ শাক। অবশ্য খাবার সাথে সাথেই সে শক্তিশালী হয়ে উঠবে না, তবে দীর্ঘমেয়াদে দারুণ সুফল পাবে। অনেক বাচ্চাই শাক খেতে চায় না। শাক বড়া অথবা চিপসের মত করে বানিয়ে দিতে পারেন।


ওটস


ইদানিং ডায়েটের জন্যে ওটস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এর স্বাদ সম্পর্কে খুব ভালো কথা শোনা যায় না। তাই বলে কি আপনার সন্তান এই পুষ্টিকর খাবার টি থেকে বঞ্চিত হবে? প্রশ্নই ওঠে না। নানারকম ওটস এর রান্না আছে। ওটস খিচুড়ি, ওটস কেক, ওটস মিষ্টি ইত্যাদি। ওটসের প্রোটিন এবং আঁশ হার্ট এবং ব্রেইনের জন্যে খুবই ভালো।


আপেল এবং বড়ই


ডেজার্ট আইটেম হিসেবে এ দুটি ফল রাখতে পারেন। এর যেমন পুষ্টি, স্বাদও তেমন। বানাতে পারেন চাটনি, আচার, কেক আরো অনেক কিছু। এতে আছে এ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং কুয়ার্সেটাইন যা মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকর।


শিশুর বাড়ন্ত অবস্থায় শরীর আর ব্রেইন দুটোর জন্য যথাযথ খাবার দরকার। বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল-সবজি, মাছ কিংবা আঁশ জাতীয় খাবার শিশুর শরীর গঠনতো বটেই বুদ্ধিও বাড়ায়। আমাদের হাতের কাছে সহজেই অনেক খাবার পাওয়া যায়। অভিভাবকদের জানা দরকার কোন খাবারগুলোর পুষ্টিমান অনেক বেশি শিশুবান্ধব।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com