প্রতিদিনের জীবনে প্রায়ই নানা ধরণের ছোটখাটো ব্যথা, অসুখ কিংবা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হই। ছোটখাটো বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে অনেক সময়ই আমরা পরিবার কিংবা আত্মীয়স্বজনের পরামর্শ নিয়ে থাকি।
এইসব সমস্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়াই ঘরে বসেই নিরাময় সম্ভব। জেনে নিই এমন কিছু সমস্যা এবং তাদের সমাধান সম্পর্কে।
ব্যাক পেইন বা মেরুদণ্ডে ব্যথা
ঠাণ্ডা ও গরম পানির সেঁক দিন। ২০ মিনিট অন্তর অন্তর ঠাণ্ডা ও গরম পানির সেঁক পরিবর্তন করে ব্যবহার করুন।
ঘুমানোর জন্য ম্যাট্রেসটি হতে হবে যথোপোযুক্ত যেন মেরুদণ্ড সোজা থাকে। খুব শক্ত কিংবা একেবারেই নরম ম্যাট্রেসে শোয়া যাবে না।
মাথাব্যথা
শুয়ে পড়ে ব্যথায় আক্রান্ত স্থানে ঠাণ্ডা পানির প্যাক প্রয়োগ করুন।
লবঙ্গ, মধু ও রসুন মিশুয়ে সে পানীয় পান করুন। এটি ব্রেনের অনুভূতিবাহক এরিয়াকে রিআক্টিভেট করতে সহায়তা করবে।
আঙ্গুল দিয়ে কপালের দুপাশ এবং মাথায় টিপলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে যা ব্যথা উপশমে কাজে দেয়।
নাসারন্ধ্র বন্ধ
বাষ্প উড়তে থাকা সময় পর্যন্ত পানি গরম করে পাত্রের চারপাশে কাপড় দিয়ে সেই বাষ্প নাক দিয়ে গ্রহণ করা। এতে একটু মেন্থল মিশিয়ে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
২ চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার, মধু ও পানি মিশিয়ে সে মিশ্রণ পান করুন। পান করার আগে মিনিট তিনেক দাঁড়িয়ে থাকুন।
চর্মরোগ
একজিমা, অ্যালার্জি এর মত নানা ধরণের চর্মরোগ স্বল্পমাত্রায় দেখা দিতে পারে। এসবে
৫০০ গ্রাম ওটসকে ১ লিটার পানিতে সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার কাপড় চেপে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন।
আক্রান্ত স্থানে টি ট্রি অয়েল প্রয়োগ করুন।
মাইগ্রেন
ক্যাফেইন মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। এক কাপ স্ট্রং ব্ল্যাক কফি চিনি দিয়ে খেয়েই দেখুন না।
অন্ধকার ও নিরিবিলি ঘরে অবস্থান করুন। গরম এবং ঠাণ্ডা পানির সেঁক বদলে বদলে প্রয়োগ করুন। মাথার পেশীকে রিলাক্স করতে সাহায্য করবে।
অ্যামন্ড শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, আর এন্ডোরফিন শরীরে ব্যথার অনুভূতি কমিয়ে দেয়, তাই প্রতিদিন ১০০ গ্রাম অ্যামন্ড ব্যথা থেকে রক্ষা করতে পারে।
কন্সটিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য
খালি পেটে সকালে উঠে কমলার জুস পান করুন। এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে সাহায্য করবে।
চামড়া ছাড়া আপেল আপনার পরিপাক প্রক্রিয়াকে ভালো করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
বুকজ্বালা, পেটব্যথা ও পরিপাকে সমস্যা
লেবু দেয়া এক বাটি চিকেন সুপ হতে পারে পেট ও পাকস্থলীর জন্য উপকারি।
ব্যথায় আক্রান্ত স্থানে গরম সেঁক প্রয়োগ করুন।
বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পানিতে মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে।
ঠাণ্ডা, সর্দি-কফ
ব্রেকফাস্টের সাথে প্রতিদিন এক গ্লাস কমলার শরবত হতে পারে ঠাণ্ডা ফ্লু থেকে বাঁচার উপায়।
গরম স্যুপ এ থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক ও প্রদাহ হ্রাসকারী গুনাগুণ ঠাণ্ডায় ও গলা ব্যথায় উপশমের কাজ করে।
ব্রণ
পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে ৩-৫ মিনিট গরম করুন। এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার পান করুন যা ডিটক্সিফাই করতে কাজ করবে।
মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
পানির মধ্যে ভিনেগার মিশিয়ে তুলা ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন।
চুল পড়া
অ্যালোভেরা থেকে নির্যাস সংগ্রহ করে পানিতে মিশিয়ে মাথায় দিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
গাজরের রস ও নারিকেলের দুধ মিশিয়ে মাথায় দিলে তা চুলের গোড়া শক্ত করে।
পেঁয়াজের রস চুলের গোড়া শক্ত করে। পেঁয়াজের রস দিয়ে ২০ মিনিট পর লেবুর রস দিয়ে পরে ধুয়ে ফেলুন।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]