পবিত্র রমজান আসছে। এ সময় খেজুর ছাড়া ইফতার করার কথা যেন ভাবাই যায় না। এমনিতেও বলা চলে, খেজুর খাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু কেন? আসুন, জেনে নেয়া যাক খেজুরের কিছু গুণাগুণ।
মুহূর্তেই শরীরে শক্তি দেয়
শুকনো খেজুরের ওজনের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি এবং তা সরাসরি রক্তে চলে যায়। আর সে কারণেই শুকনো খেজুরকে 'মরুভূমির গ্লুকোজ' বলা হয়ে থাকে।
ব্লাড প্রেশার কমাতে
বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-বি নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
স্ট্রেস দূর করে
স্ট্রেস ও নার্ভাসনেসের কারণে মাথাব্যথা হলে তা সহজেই দূর করতে পারে খেজুর। খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা স্ট্রেস দূর করতে সহায়তা করে।
মনকে আনন্দিত করতে
খেজুরে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যা সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এই মিষ্টি ফলটি মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়, মনকে খুশি রাখে।
হাড় শক্ত করতে
ভিটামিন 'কে'-তে ভরপুর খেজুর। আর কে না জানে, হাড়কে মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ভিটামিন 'কে'।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
মানসিক চাপ, রাগ বা অন্য অনেক কারণেই হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। আবার এর সঙ্গে পেটব্যথাও হয়ে থাকে অনেক সময় এরকম পরিস্থিতিতে শুকনো খেজুর খেলে খুব সহজে পেট পরিষ্কার হতে পারে। তবে সাথে প্রচুর পানিও পান করতে হবে, তবেই সঠিক ফল পাওয়া সম্ভব।
খেজুর যেভাবে রাখবেন
তাজা খেজুর সরাসরি ফ্রিজে রাখা ভালো এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তা খেয়ে ফেলা উচিত। তবে শুকনো খেজুর বা খোরমা কিছুদিন রেখে খাওয়া যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে তাতে যেন পোকা বা ফাঙ্গাস না হয়। এরকমটা হলে খেজুর সাথে সাথেই ফেলে দেওয়া উচিত।
সাবধান!
যাঁদের মাইগ্রেন বা প্রচণ্ড মাথাব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ ছোট মিষ্টি খেজুরে 'টিরামিন' নামে যে পদার্থটি রয়েছে, তা মাথাব্যথা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। আর যাঁরা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাঁদেরও খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। খেজুর খেলে তাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]