নাইজেরিয়াতে একটি রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর নাম লাসা ফিভার। এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন নেই। সম্প্রতি এই রোগটি নাইজেরিয়ায় যেকোনো সময়ের চাইতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
এ লাসা ফিভার হলে রোগীর শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা শুরু হয়। একটা সময় রোগী মারা যায়। আরেকটি ফিভার আছে যার নাম ভাইরাল হেমোরেজিক ফিভার। এটি হলে রোগী একাধিক অঙ্গ নষ্ট হয়ে যায়। রোগী রক্ত নালী ধ্বংস করে ফেলে। এ ধরনের রোগী চিকিৎসা খুব কঠিন।
লাসা ফিভার যাদের হয় তাদের লক্ষণ মাথা ধরা ও শারীরিক দুর্বলতা। প্রাথমিকভাবে এই জ্বর সামান্যই কাবু করে লোকজনকে। কিন্তু এই জ্বর যখন তীব্র হয় তখন এটি হেমোরেজিক ফিভারে কিংবা ইবোলার মত পরিণত হয়। তখন রোগীর নাক, মুখ, গলা, কান প্রভৃতি অঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।
লাসা ফিভারে মৃত্যুর হার ১ শতাংশ। কিন্তু নাইজেরিয়াতে এই রোগে ২০ শতাংশ লোক মারা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৯০ জন লোক লাসা ফিভারে মারা গিয়েছে। তবে এই সংখ্যা সঠিক নয়। কারণ লাসা ফিভার ডায়াগোনস করা কঠিন। মানে রোগটি হয়েছে তা পরীক্ষা করে ধরা কঠিন। যেসব নারী গর্ভবতী তারা যদি এই রোগে আক্রান্ত হয় তবে তাদের সন্তান হারানোর সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।
১৯৬৯ সালে নাইজেরিয়ার লাসাতে চিহ্নিত হয় এই রোগ। যে কারণে এই রোগের নাম হয়েছে লাসা ফিভার। এরপর ঘানা, মালি ও সিয়েরালিওনে এই রোগ দেখা গেছে।
ইঁদুরে মূত্র, রক্ত কিংবা লালা যদি খাদ্য দ্রব্য কিংবা পানির সংস্পর্শে আসে তবে এই রোগের সংক্রমণ হতে পারে। তাই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর দেহ স্পর্শেও এই রোগ বিস্তার করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এই রোগের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছেন। সূত্র বিবিসি
বিবার্তা/সুমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]