শিরোনাম
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শখের বাগান
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৫২
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শখের বাগান
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাগান করতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম? আবার কেউ কেউ আছেন বাগান পছন্দ করেন কিন্তু করতে চান না। জানেন কি আপনার এই শখ থেকে আপনি শুধুমাত্র আনন্দ ছাড়াও আরও বেশি কিছু পেতে পারেন। আপনার স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দেবে শখের বাগান।


গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছে যে, “বাগান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারজনক, যা চাপ লাঘব করে, রক্তচাপ হ্রাস করে ও এমনকি আপনাকে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সাহায্য করে,” লন্ডনের ইনডিপেনডেন্ট খবরের কাগজ রিপোর্ট করে।


ব্যস্ততা থেকে চাপপূর্ণ দিনের শেষে ঘরে ফিরে বাগানে ধীরেসুস্থে টুকিটাকি কাজ করলে বিরাট স্বস্তি এনে দেয়। বাগান করা শুধুমাত্র পরিতৃপ্তিদায়ক ও আগ্রহজনকই নয় কিন্তু এটা এমনকি জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার চেয়েও ভাল ব্যায়াম হতে পারে। কীভাবে?


গবেষণা অনুসারে, “মাটি খোঁড়া ও সেটাকে মসৃণ করার মতো কাজগুলো হল এক উত্তম ও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যায়াম, যা সাইকেল চালানোর ফলে যত ক্যালোরি খরচ হয়, তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি খরচ করে।”


সুস্বাস্থ্যের জন্য অনন্য উদাহারণ বাগান করা। চমৎকার এই শখ আপনার মন ভালো রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যরক্ষায় নানাভাবে অবদান রাখতে পারে।


মানসিক চাপ কমাতে
বাগানে কাজ করা মানসিক চাপ কমানোর দারুণ দাওয়াই। বাগানের কাজের সময় হাতের কাজটাই হয় মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আর সে কারণে অফিসের কোনো সমস্যা, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা অথবা অতীত নিয়ে আফসোসের সময়টা আর পাওয়া যায় না।


ডাচ বিজ্ঞানীরা ৩০ জন মানুষের উপর জরিপ চালান। খুব ঝামেলাপূর্ণ কোনো একটা কাজের মধ্যে বিরতিতে তারা অর্ধেক মানুষকে দিয়েছিলেন ৩০ মিনিট বই পড়তে আর বাকিদের পাঠান বাগানে কাজ করতে। ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বই পড়ছিলেন তাদের চেয়ে বাগানে কাজ যারা করেছেন তারা বেশি হাসিখুশি হয়ে ওঠেন এবং তাদের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাও ছিল অপেক্ষাকৃত কম।


বিষণ্ণতা আর দুশ্চিন্তার লাগাম
যারা বিষণ্ণতায় ভোগেন কিংবা অল্পতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, বাগান করা তাদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। ২৮ জন বিষণ্ণতায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে একটি পরীক্ষা করেছিলেন নরওয়ের বিজ্ঞানীরা। এই পরীক্ষার সময়ে অংশগ্রহণকারীরা নিয়মিত বাগানে কাজ করতেন। তিন মাস পরে আবার যখন তাদের পরীক্ষা করা হয়, তখন দেখা যায় যে তাদের বিষণ্ণতার লক্ষণ কমে এসেছে অনেকাংশে আর তাদের স্বাস্থ্যও ভালো হয়েছে আগের চেয়ে।


সামাজিকতা বাড়াতে
কারো কারো জন্য বাগানে কাজ করতে যাওয়া হলো মানুষের সাথে কথা বলা এড়িয়ে যাবার একটি কৌশল। কিন্তু বাগান করা হতে পারে সামাজিকতা বাড়ানোর একটি মাধ্যমও। ভেবে দেখুন তো, আপনি যখন বাগানে কাজ করছেন আর আপনার প্রতিবেশী হেঁটে যাচ্ছে, আপনাদের মধ্যে কুশল বিনিময় ছাড়াও টুকটাক কথা হবেই। আর তাতে কিন্তু সামাজিক বন্ধন বাড়বে, কমবে না।


পারিবারিক পুষ্টির জন্য


খাবার টেবিলে নিজের বাগানে ফলানো শাক-সবজি-ফলের থেকে মজাদার ও স্বাস্থ্যকর আর কি হতে পারে। আপনার বাগান থেকে আসা সবজি ও ফল অবশ্যই তরতাজা এবং কীটনাশকসহ যে কোনো ধরনের রাসায়নকি উপাদানমুক্ত। আর দারুণ এক অর্জনও বটে।


আর খুব ভালো হয় যদি আপনার সাথে আপনার বাচ্চারাও বাগানের কাজে হাত লাগায়। স্কুলের হোম ওয়ার্কের পর গাছে পানি দেওয়া বা আগাছা পরিষ্কারের কাজটা তাদেরকে দিতে পারেন। এতে শারীরিক কসরতের পাশাপাশি দায়িত্ব নেবার মানসিকতা তৈরি হবে ছোটবেলা থেকেই।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com