হাঁপানি বা অ্যাজমা একটি ক্রনিক বা শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা। এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। অ্যাজমা অ্যাটাক অনেক সময় আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। একেকজন হাঁপানির রোগীর সমস্যা একেক রকম হয়। কারোর শুধু হাঁচি, কাশি, বুকে ব্যথা হয়ে থাকে। আবার কারোর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হয়। অ্যাজমা অ্যাটাকের সময় কিছু খাবার আছে যা এড়িয়ে চলা উচিত। এই খাবারগুলো হাঁপানি আরও বাড়িয়ে দেয়।

ডিম: স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি হাঁপানির সময় খাবেন না। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকে, আর এই প্রোটিন অ্যালার্জির উদ্রেক করে হাঁপানির সমস্যা বৃদ্ধি করে।

দুধ: ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস দুধ। দাঁত হাড় মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দুধে থাকা প্রোটিন হাঁপানি বাড়িয়ে দিয়ে থাকে বহুগুণ। তাই হাঁপানির অ্যাটাকের সময় দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চিনাবাদাম: স্বাস্থ্যকর একটি খাবার চিনাবাদাম। আপনি যদি হাঁপানির রোগী হয়ে থাকেন, তবে এই চিনাবাদাম আপনার জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে চিনাবাদাম হাঁপানির সমস্যা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।

গম: গমে গ্লুটেন নামক এক প্রকার প্রোটিন আছে, যা হাঁপানিকে বাড়িয়ে তোলে। গ্লুটেন ইনফ্লামেশন সৃষ্টি করে যা শ্বাস প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে।

ফ্রোজেন আলুর চিপস: দোকানে ফ্রোজেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিনতে পাওয়া যায়। এই ফ্রোজেন আলুর চিপস বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজে থাকার কারণে আলু ড্রিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। যা আপনার হাঁপানি সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

সয়া: প্রোটিন সমৃদ্ধ আরও একটি খাবার হল সয়া। সয়াতে অ্যালার্জিক প্রোটিন আছে যা হাঁপানি বৃদ্ধি করে থাকে।

হাঁপানি রোগীদের আর সবার থেকে একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়। ঠাণ্ডা, ধুলাবালি এড়িয়ে চলা উচিত। এমনকি আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীটির কারণেও আপনার হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে।

বিবার্তা/জিয়া