যে কারও জ্বর হতে পারে। আর এই জ্বর বলে কয়ে আসে না। বিশেষ এই সময়টিতে জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমন হয়ে থাকে। তবে আসুন জ্বর হলে কি করবেন সে বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
জ্বর হলে প্রথমেই রোগীর পুরো শরীর স্পঞ্জিং করিয়ে দিতে হবে। টানা প্রায় ১০ মিনিট অবিরাম স্পঞ্জিং করলে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। তবে যাদের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা বোঝা যাবে, যেমন কাশি ও বুকের মধ্যে ঘড়ঘড়ে ভাব দেখা দিলে তাদের স্পঞ্জিং করার সময় বুকে যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের ঠাণ্ডা পানি মোটেও খাওয়া যাবে না। তাদেরকে গরম পানি মিশিয়ে খাওয়ানো ভালো।
স্পঞ্জিং করার সময় হালকা করে ফ্যান ছেড়ে রাখতে পারেন। আবার খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাতাস রোগীর শরীরে যেনো ডাইরেক্ট না লাগে।
একটি ছোট গামছা অথবা রুমাল পানিতে ভিজিয়ে শরীর স্পঞ্জিং করতে হবে। আবার স্পঞ্জিং করার পর অপর একটি শুকনো ছোট গামছা দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, যে কোনও জ্বরেই স্পঞ্জিং উপকারী। এভাবে প্রয়োজনে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাও করা যায়। তবে অনেক সময় জ্বর আসার কারণে রোগি স্পঞ্জিং করতে চান না। সেক্ষেত্রে নাপা বা প্যারাসিটামল গুপের ট্যাবলেট দিয়ে জ্বর কমাতে পারেন। যাদের কাশি বা ঠাণ্ডা লাগার পরিমাণ বেশি তারা এলাকট্রল ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে প্যারাসিটামলের অতিরিক্ত কোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া মোটেও উচিত হবে না।
তবে নর্মাল ঠাণ্ডা জ্বর হলে প্যারাসিটামল কিংবা স্পঞ্জিং করে জ্বর চলে যেতে পারে। তবে ১০০ ডিগ্রির বেশি হলে তবেই প্যারাসিটামল খাওয়ানো যাবে। যদি ৩ দিন বা তার অধিক দিন জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]