শিরোনাম
কমলা খান নিশ্চিন্তে, কিন্তু জুস বুঝেশুনে
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ০৮:০৭
কমলা খান নিশ্চিন্তে, কিন্তু জুস বুঝেশুনে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে কোন ফলের দোকানে চোখ পড়ল আর কমলা দেখা গেল না, ব্যাপারটি নিতান্তই অস্বাভাবিক। আমাদের দেশীয় ফল না হলেও আশেপাশে এর প্রাচুর্যতা দেখে তা বোঝার কোন উপায় নেই। মাঝারি আকৃতির এই ফলটির গুণাবলী কিন্তু মাঝারি নয়।


রোগব্যাধি কমানো থেকে শুরু করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও কমলার জুড়ি মেলেনা। চলুন এর কিছু বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জেনে নেই:


● সাইট্রাস জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে এরা ত্বক, ফুসফুস, কোলন, পাকস্থলী এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।


● নিয়মিত পরিমাণমত কমলার জুস খেলে বিভিন্ন কিডনির ডিজিজ ও কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।


● এর মধ্যে পানিতে দ্রবণীয় খাদ্যআঁশ থাকে যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।


● কমলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম এক ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট মিনারেল যা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে অ্যারিদমিয়া বা হৃদস্পন্দনে সমস্যা হতে পারে।


● ভিটামিন সি আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি-র‍্যাডিকেলের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যার ফলে শরীরে কোন দুরারোগ্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।


● গবেষণায় পাওয়া গেছে, কমলাতে যে পলিফেনল থাকে যা শরীরকে ভাইরাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।


● প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ থাকায় এরা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।


● কমলাতে ক্যারোটিনয়েড পদার্থ বিদ্যমান। এরা শরীরের ভেতরে ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত হয়। ফলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।


● এর মধ্যে বেটা-ক্যারোটিন থাকে যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে নিয়মিত কমলা খেলে ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ থাকে। সাথে সাথে ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায় না।


● ফ্ল্যাভনয়েড হেসপিরিডিন নামক এক ধরনের পদার্থ এতে পাওয়া যায় যা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।


পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


● উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জাতীয় পানীয়র অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো এটি আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত কমলার জুস খাওয়া ভাল নয়।


● অনেকে মনে করে থাকেন কমলার মত কমলার জুসেও খাদ্যআঁশ থাকে যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী। কিন্তু কমলা পিষলে খাদ্যআঁশের পরিমাণ অনেক কমে যায়। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কমলার জুস পান করলে পেটের সমস্যা এবং হৃৎপিণ্ডে জ্বালা-পোড়ার সৃষ্টি হতে পারে।


● যে সকল মানুষের থ্যালাসেমিয়া বা হেমোক্রোমাটোসিস রোগ আছে তাদের জন্য কমলার জুস একদম না। কমলার জুসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা এসব রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com