কয়েক দিন ধরেই প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এদিকে বাইরের তাপমাত্রাও অনেক বেশি। ঠিক মতো সাবধানতা না নিলে এই ধরনের আবহাওয়ায় হিট স্ট্রোক হতে পারে। কেননা, মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা যদি খুব বেশি হয়ে যায়, আর তা যদি মস্তিষ্কের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাকে ছাপিয়ে যায়, তখনই হতে পারে হিট স্ট্রোক।
মূলত গরমের কারণেই এই হিট স্ট্রোক হয়ে থাকে। পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, রোদে বেশিক্ষণ অবস্থান করা আর একটি জায়গায় গরমের মাঝে গুটিশুটি হয়ে বসে থাকলে এই সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার কোনো বয়সসীমা নেই। কোথায় কখন কিভাবে হিট স্ট্রোক হতে পারে তা আপনিও নিজে জানেন না।
তাই আজ জেনে রাখুন হিট স্ট্রোক কখন, কীভাবে হয় এবং এটা হলে আপনি কীভাবে বুঝবেন ও কি করবেন।
কখন হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে
> বাইরের তাপমাত্রা খুব বেশি, অথচ কোনো রকম সাবধানতা ছাড়াই চড়া রোদে দীর্ঘ সময় থাকলেন।
> অনেকক্ষণ পানি না খাওয়ার জন্য শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে, সোজা কথায় ডিহাইড্রেশন হলে।
> এমন পোশাক পরলেন, যা দিয়ে স্বাভাবিক বায়ুচলাচল হতে পারছে না।
> ঘাম বেরোতে না পারলে।
সমস্যাটা কী হয়
> রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। মারাত্মক রকম হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন। শরীরের ভেতরকার তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায়।
> রক্তে পানির পরিমাণ কমে যায়। খুব বেশি কমে গেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে
> সোডিয়াম বা পটাশিয়ামের মাত্রা হঠাৎ করে খুব বেশি কমে বা বেড়ে যেতে পারে। তার থেকে কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন
রোগীকে প্রথমে এসি বা ফ্যানের নিচে শুইয়ে দিন। চোখে মুখে ঠাণ্ডা পানির ছিটে দিন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন। খেতে পারলে মোটামুটি ঠান্ডা পানি খাইয়ে দিন। আস্তে আস্তে রোগী স্বাভাবিক হবেন। আর যদি দেখেন এতে কমছে না, তবে চটজলদি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।
হিট স্ট্রোক এড়াতে
> হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের পোশাক হলে সবচেয়ে ভালো হয়। এই ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের প্রাধান্য বেশি। যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
> বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা সঙ্গে ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন তারা মাথায় ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
> প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল যেমন স্যালাইন, শরবত পান করুন। চা ও কফি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরের খাবার যেমন বার্গার, স্যান্ডউইচ, ঠান্ডা গোলা, পথের পাশের আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে পানির বোতল আর স্যালাইন রাখুন।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]