শিরোনাম
স্বাস্থ্যরক্ষায় ডিমের জানা অজানা
প্রকাশ : ২২ মে ২০১৭, ১৩:০৬
স্বাস্থ্যরক্ষায় ডিমের জানা অজানা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

● একটি ফার্মের ডিমে ক্যালরি আছে ৮০ এবং দেশি মুরগির ডিমে ক্যালরি আছে মাত্র ৫০। তবে কি বলা যায়, দেশি ডিমের চেয়ে ফার্মের ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে? মনে হয় না। কারণ ক্যালরি দিয়ে মাপা হয় কতটা শক্তি ওই খাবার খেলে পাওয়া যেতে পারে। বেশি ক্যালরি থাকলে খাবার পুষ্টিকর হবে এমন নয়, বরং অনেক সময় বিপরীতটাই সত্য।


● ফার্মের ডিমে পাওয়া যায় ৮ গ্রাম প্রোটিন ও ৬ গ্রাম চর্বি রয়েছে। ডিমের কুসুমে রয়েছে ২৫০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, যা সম্পৃক্ত চর্বি। এছাড়াও ভিটামিন ডি সহ প্রায় ১১ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।


● ডিমের কুসুম খুব সহজে হজম হয়। তবে হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের কুসুম বাদ দেয়াই ভালো। ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। ডিমের সাদা অংশটি হলো পেপটাইড ও প্রোটিন, বাংলায় যাকে অনেক সময় ‘আমিষ’ বলা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্নমাত্রায় ক্যাপ্টোপ্রিল (উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধী একটি ওষুধ) ব্যবহারে রক্তচাপ যতটা কমে প্রায় সে পরিমাণে রক্তচাপ কমতে সহায়তা করে ডিমের এই সাদা অংশ। অবশ্য ভিন্নমতও আছে।


● সিদ্ধ, পোচ, অমলেট যেভাবেই ডিম খাওয়া হোক না কেন, এর পুষ্টিগুণে তারতম্য হয় না। বরং সিদ্ধ করে খেলে ডিম থেকে রোগজীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে কম থাকে। অবশ্য পূর্ণসিদ্ধ করতে হবে, অর্ধসিদ্ধ বা হাফ-বয়েল নয়।


● ডিম রাখুন ঠাণ্ডা জায়গায়। ফ্রিজ থাকলে ফ্রিজে আর না থাকলে চুনের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। অনেক দিন ডিম ভালো থাকবে।


● ফ্রিজে রাখার আগে ডিম কখনও ধুবেন না। কারণ ডিমের বহিরাংশে এক ধরনের প্রতিরোধ স্তর থাকে, যা ডিম ভালো রাখে। ময়লা পরিষ্কারের জন্য ডিম যদি ধুতেই হয় তবে ধোয়ার পর ফ্রিজে রাখার আগে ডিমের উপর তেলের প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন। ডিম রান্না করার আগে ফ্রিজ থেকে বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে রান্না করুন।


● যাঁরা সুষম খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত, তাঁদের সপ্তাহে ছয়টি ডিম খেতে কোনো ক্ষতি নেই। তবে মধ্যবয়স্করা অতিরিক্ত ডিম খাওয়া থেকে সাবধান! সপ্তাহে সাতটি বা ততোধিক ডিম খেলে এই বয়সের লোকজনদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। তবে কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশ (সিদ্ধ) খেলে ঝুঁকি এতটা নাও বাড়তে পারে।


● যেসব মহিলা এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৬টি ডিম খায়, তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪৪% কমে যায়। ডিমের কুসুমে কোলিন নামক একটি প্রোটিন থাকে যেটি মস্তিস্ক গঠনে ভূমিকা রাখে। তাই গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের খাদ্য তালিকায় ডিমের কুসুমের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়। তার মানে, কুসুম খাওয়া সবসময় খারাপ না!


● ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের ঝিল্লিকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। মহিলাদের প্রতিদিন ৭০০ মাইক্রোগ্রাম এবং পুরুষদের প্রতিদিন ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ প্রয়োজন শরীরের জন্য।


● ডিম এর মাধ্যমে কিছু রোগ ছড়াতে পারে বার্ড ফ্লুর মত কঠিন রোগ ছাড়াও । ডিমের গায়ে লেগে থাকা পায়খানা থেকে; এমনকি ডিমের ভেতরে টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড প্রভৃতি রোগের জীবাণু থাকতে পারে যা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। তাই ডিম অবশ্যই কাঁচা খাবেন না। পারলে অর্ধসিদ্ধ বা পোচ খাওয়াও পরিহার করুন।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com