রাজশাহীতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ উপলক্ষ্যে এইএফআই সার্ভিলেন্স ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এইচপিভি ক্যাম্পেইন বিষয়ে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।

২০ অক্টোবর, রোববার সকাল ১০টায় নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশনে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সগণ অংশগ্রহণ করেন।

রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী মহানগরীর জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ স্কুল পর্যায়ে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে চলবে মাসব্যাপী। জরায়ুমুখ ক্যান্সার টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নগরীর ৩০৬টি স্কুলের ২৩ হাজার ৫শ ১০ জন শিক্ষার্থীকে এ এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে ২৫৩টি কেন্দ্রে ২জন টিকাদানকারী, ২জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। কমিউনিটি পর্যায়ে ৭ নভেম্বর শুরু হবে পরবর্তী ৮ কর্মদিবসে ৬০টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।

টিকা পেতে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কাজে নিয়োজিত থাকবে। কমিউনিটি পর্যায়ে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন করে নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে পারবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. কামরুজ্জামান জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তুলতে এইচপিভি টিকা প্রদান এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফল করতে হবে। নির্দিষ্ট বয়সী কেউ যেন এ টিকা থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। রাজশাহীতে এই টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়িত করতে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। টিকাদান পরবর্তী যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্টকে আন্তরিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরপি ডা. মুসাররাত সুলতানা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাফুসা সিদ্দিকা লিপি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. ফারহানা হকসহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী সিটি হাসপাতাল, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন, পুলিশ লাইনস হাসপাতাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র, রেলওয়ে হাসপাতাল, ইসলামি হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভী, পাথ এর সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

বিবার্তা/মোস্তাফিজুর/এনএইচ