কামরাঙা একটি টক-মিষ্টি স্বাদের ফল। এই ফলটির উৎপত্তি মূলত শ্রীলঙ্কায়। পরবর্তী সময়ে ভারত, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, চীনসহ ইউরোপ-আমেরিকা মহাদেশে চাষ হয় এবং বেশ পরিচিতি পায়। কোনো কোনো দেশে এটিকে স্টার ফ্রুট (তারা ফল) বা ক্যারামবোলাও বলা হয়। এই কামরাঙায় রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি, আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। তবে ভিটামিন সির পাশাপাশি ফলটির আরও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন-
> সবুজ রঙের ফলটিতে এন্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম আর ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরমিাণে। নিয়মিত কামরাঙা খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর ত্বকও ভালো থাকে।
> নিয়মিত কামরাঙা খেলে রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসে। মাথা ব্যথা এবং জলবসন্ত হলে কামরাঙা খেলে উপকার পাওয়া যায়। কোনো কারণে চোখ ব্যথা করলে কামরাঙা খেলে ব্যথা কমে যায়।
> শিশুর জন্য পর্যাপ্ত বুকের দুধ পেতে, মায়েরা খেতে পারেন কামরাঙা। এছাড়া বমিভাব এবং হজমে সমস্যা দেখা দিলে প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর কামরাঙা খান। দ্রুত আরোগ্য হবে।
> সর্দি, কাশি প্রতিরোধ করে কামরাঙা। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ডায়েট করছেন, তাঁরা কামরাঙা নিয়মিত খেতে পারেন, উপকার পাবেন।
> কামরাঙা ফলের ভেষজ গুণও কম নয়। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল এবং পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। পাতা ও ডগার গুঁড়া সেবনে জলবসন্ত ও কৃমি থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
> ত্বক মসৃণ করা যায় কামরাঙা ফলের মাধ্যমে। পাঁচড়া, ঘা শুকাতেও সাহায্য করে। হৃদরোগ, দাঁত ও ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী কামরাঙা।
সাবধানতা: যারা বিভিন্ন কিডনি রোগে ভুগছেন। যেমন কিডনি দুর্বল, কিছুটা নষ্ট, প্রায় কাজ করছে না অথবা পুরোটা নষ্ট অর্থাৎ ডায়ালসিস করতে হচ্ছে বা কিডনিতে পাথর রয়েছে এসব ক্ষেত্রে কামরাঙ্গা গ্রহণকারীদের মৃত্যু হতে পারে।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]