নাস্তায় প্রায়ই খাওয়া হয় যে ফলটি তা হল কলা। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ সদ্যপাকা কলা খেতে পছন্দ করেন। কলা অতিরিক্ত পেকে গেলে এর চামড়ায় কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। আর এই দাগের কারণে বেশির ভাগ সময় অতিরিক্ত পাকা কলা ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই অতিরিক্ত পাকা কলার রয়েছে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগুণ।
পুষ্টির পরিমাণ: প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি এবং ফাইবারসমৃদ্ধ ফল হল কলা। কলা যখন অতিরিক্ত পেকে যায় এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বুক জ্বালাপোড়া রোধ: কলাতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অ্যাসিড রয়েছে যা বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে। বুক জ্বালাপোড়া করলে একটি কলা খান দেখবেন অনেকখানি কমে গেছে।
রক্তচাপ: কলা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি স্টোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস করে থাকে।
হজমশক্তিতে বৃদ্ধিতে: অতিরিক্ত পাকা কলায় ফাইবারের পরিমাণ কমে যায়, যার কারণে এটি সহজে হজম হতে পারে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: ২০০৯ সালে জাপানিজ এক গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত পাকা কলাতে টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ ভেঙ্গে দেয়। এটি ক্যান্সার নিরাময় করে না তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: কলাতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পাকা কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে: কলায় আয়রন রক্ত কোষকে উজ্জীবিত করে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা রক্ত স্বল্পতা দূর করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন একটি পাকা কলা।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]