মহামারী করোনাভাইরাসের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বর্ষা এলেই বেড়ে যায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। একে তো করোনা, তার উপরে আবার ডেঙ্গু! সব মিলিয়ে এখন সুস্থ থাকাটাই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি স্ট্রেইন (ডেন-১, ২, ৩ ও ডেন-৪)। এর যেকোনো একটি দিয়ে ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে। আর এই ভাইরাস বহন করে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস এলবোপিকটাস প্রজাতির মশা।
এ জ্বরে ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।
এ সময় ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতন হতে হবে সবাইকে। করোনার পাশাপাশি এখন ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত হতে হবে। জেনে নিন ডেঙ্গু প্রতিরোধে যা করবেন-
-বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন। ফুলের টব, মাটি বা প্লাস্টিকের পাত্র ও ফুলদানিতে কয়েকদিনের বাসি পানি যেন না জমে।
-শিশুদের ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট পরাবেন। সাদা কাপড় পরা ভালো। দিনের বেলায় ঘুমালে মশারি টানানো উচিত। শরীরে উন্মুক্ত স্থানে মশা প্রতিরোধক ক্রিম লাগাতে পারেন।
-দিন ও রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন।
-ঘরে যেন মশা ঢুকতে না পারে এজন্য জানালাসহ বারান্দার গ্রিলেও নেট লাগাতে পারেন।
-এডিস মশার জন্ম হয় পাত্রে জমে থাকা পানিতে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনার বাড়ি এবং তার চারদিকে ঘুরে দেখুন কোথাও কোনো পাত্রে পানি জমে আছে কি না। থাকলে ফেলে দিন বা পরিষ্কার করুন।
-যদি কোনো পাত্রের পানি ফেলে দেয়া না যায় তাহলে সেখানে ব্লিচিং পাউডার বা লবণ দিন।
-গাড়ির অব্যবহৃত টায়ার ঘরে রাখবেন না, কারণ সেখানে এডিস মশার জন্ম হতে পারে।
-দই বা যেকোনো খাবারের কৌটা বাইরে ফেলবেন না। এসব পাত্রেও পানি জমে থাকতে পারে।
-বাথরুমে যদি পানি ধরে রাখতে হয় তাহলে পানির পাত্র সপ্তাহে অন্তত একবার ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ভালো করে ধুয়ে আবার পানি ভর্তি করুন।
-এডিস মশা পানির পাত্রের কিনারে ডিম পাড়ে এবং পাত্রের গায়ে আটকে থাকে, যে কারণে পানি ফেলে দিলেও ডিম যায় না। তাই এটিকে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কারের প্রয়োজন পড়ে।
-আপনার বাড়ির পাশে কোনো নির্মাণাধীন ভবন থাকলে, এটির লিফটের গর্ত, ইট ভেজানোর চৌবাচ্চা, ড্রাম পরীক্ষা করুন। যদি এসব জায়গায় জমে থাকা পানিতে ছোট ছোট পোকা দেখতে পান, তাহলে বুঝবেন সেটি এডিস মশার লার্ভা বা বাচ্চা।
-বাড়ির আশপাশে যদি কোনো সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা থাকে মশা জন্মানোর মতো, তাহলে কর্তৃপক্ষকে জানান। বাড়ির আশপাশে গাছের গর্ত বা কাটা বাঁশের গোড়া মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিন।
-অ্যাপার্টমেন্ট বা পাড়ায় পাড়ায় কমিটি করে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও মশার ওষুধ স্প্রে করা, লার্ভিসাইড ছিটানোর মতো কার্যক্রম শুরু করুন।
বিবার্তা/অনামিকা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]