শিরোনাম
ক্যান্সারের প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:৪০
ক্যান্সারের প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি অন্যতম। এই চিকিৎসা চলাকালীন ক্যান্সার রোগীর গায়ের সব লোম উঠে যায়। একই সঙ্গে শরীরও দুর্বল হয়ে যায়। জানেন কি, এমন গাছ আছে, যার ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী? অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফলটির নাম করোসল (corossol)। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধক।


বাংলাদেশের নীলফামারির খড়িবাড়ি গ্রামের ফলন শুরু হয়েছে এই গাছের। বিভিন্ন দেশ ঘুরে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা তাঁর বাগানে এই গাছ লাগান। সেই গাছে ফলও ধরেছে।


ক্যান্সার রোধে করোসলের উপকারিতা পৃথিবীর বহু দেশেই প্রমাণিত। এই ফলের অন্য নামগুলি হলো গ্র্যাভিওলা, সোরসপ, গুয়ানাভা ও ব্রাজিলিয়ান পাও পাও। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ফলের এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। শরীরও চাঙ্গা থাকে, দুর্বল ভাব আসে না। মূলত, আমাজন নদীর উপত্যকা- দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে করোসল প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রস্টেটের সমস্যায়ও নিরাময় হয়ে যায়।


কীভাবে কাজ করে করোসল? করোসল গাছে রয়েছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামে এক ধরনের যৌগ। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়, যা কেমোথেরাপি করে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর বাড়তে পারে না। এছাড়া নিয়মিত এই ফল খেতে পারলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। রক্তকে শোধিত করতেও এই ফলের গুণ অনস্বীকার্য।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com